‘ফখরুল সাহেব ধীরে, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গোস্বা করে ফেলেছেন। ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে কিছু শব্দমালার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার দুপুরে তার বাসভবনে ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেব ধীরে, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।’ বিএনপি নেতাদের অভিযোগ চিরাচরিত ও কাল্পনিক, সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলার আগে তাদের নিজেদের শাসনকালের কথা মনে করা উচিত বলে মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী।

দেশ নাকি এক অদৃশ্য শক্তি চালাচ্ছে, এ শক্তি নাকি বিএনপির উপর খবরদারী করছে- বিএনপি নেতাদের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আসলে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও ভবিষ্যতমুখি রাজনীতি বিএনপির সুবিধাবাদী রাজনীতির উপর অমানিশার ছায়া ফেলেছে।’

বর্তমান সরকার কোনো দলের উপর খবরদারী করে না, বরং সরকার পরিচালনাকে পবিত্র দায়িত্ব মনে করে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘দেশে নাকি আতঙ্ক ও নির্মম রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও দেশ এগিয়ে যাওয়ার কোনো চিত্র বিএনপি দেখতে পায় না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের মেরুদণ্ড শক্ত কারণ সরকারের সঙ্গে জনগণ রয়েছে। কোনো দৃশ্যমান বা অদৃশ্য শক্তির কাছে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাথা নত করে না।’

ওবায়দুল কাদের মনে করেন বর্তমানে দেশের মানুষ নির্ভয়ে এবং স্থিতিশীল পরিবেশে নিজ নিজ কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিচ্ছে। অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কারণে বর্ণচোরা, সুবিধাবাদী রাজনীতিবীদ এবং জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারীরা আতঙ্কে আছে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘ধর্মকে পুঁজি করে বিভেদ সৃষ্টিকারী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আতঙ্কে রয়েছে। আতঙ্কে আছে আগুন সন্ত্রাসীরা।’

দেশের সাধারণ মানুষ আতঙ্কে নয়, বরং ভালো আছে, স্বস্তিতে আছে বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় থাকাকালে হাওয়া ভবন তৈরি করে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল, জনগণের অর্থ পাচার করে বিদেশে অর্থের পাহাড় গড়েছিল, পাচারকৃত অর্থে বিদেশে আয়েশি জীবন যাপন করেছে এবং করছে তাদের কে কী বলব?’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসব প্রশ্ন রেখে বিএনপিকে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখার পরামর্শ দেন।

সেতুমন্ত্রী বলেনর, ‘ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি একজন দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি, অথচ তারা আজ নতুন নতুন সবক দেয়। দলীয় পরিচয়ে যাই হোক, শেখ হাসিনার কাছে অনিয়মকারীর কোন প্রশ্রয় নেই, যা তিনি ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছেন।’