বগুড়ায় বাসস্ট্যান্ডে ফেলে যাওয়া ব্যক্তি করোনা ‘পজিটিভ’ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

বগুড়ায় বাসস্ট্যান্ডে ফেলে যাওয়া ব্যক্তি করোনা ‘পজিটিভ’

নিজস্ব প্রতিবেদক,বগুড়া : জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকা থেকে রংপুরে যাওয়ার পথে বগুড়ায় মহাস্থানগড় বাসস্ট্যান্ডে ফেলে যাওয়া সেই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতির কথা অবশেষে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ছাড়া তিনদিন আগে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আইসোলেশনে মারা যাওয়া ১৩ বছরের শিশুর শরীরে করোনার উপস্থিতি মেলেনি বলেও জানিয়েছে তারা।

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এটিএম নুরুজ্জামান গতকাল শনিবার রাতে দৈনিক মুক্ত আওয়াজকে বলেন, ‘আইসোলেশনে ভর্তি রংপুরের ওই ব্যক্তির দেহে করোনার উপস্থিতি মিলেছে। ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করা হয়েছে।’

তিনি জানান, আজ রোববার পর্যন্ত ওই হাসপাতালের মোট সাতজন রোগী আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আগে থেকে আইসোলেশনে ভর্তি চারজনের মধ্যে একজনের দেহে করোনার উপস্থিতি মিলেছে। এর বাইরে তিনদিন আগে আইসোলেশনে মারা যাওয়া গাবতলী উপজেলার ১৩ বছরের শিশুটি করোনায় আক্রান্ত ছিল না বলে আইইডিসিআর থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ ভোরে ওই ব্যক্তিকে বগুড়ার মহাস্থানগড় বাসস্টান্ডের কাছে ফেলে যাওয়া হয়েছিল। তিনি বর্তমানে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন। তার নমুনা পরীক্ষার জন্য গত বুধবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে বলে বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্টদের মৌখিকভাবে জানানো হয়। আইইডিসিআর থেকে রিভিউ রিপোর্টেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

পরে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধানসহ পাঁচজন চিকিৎসক, আটজন নার্সসহ মোট ১৬ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির কাছ থেকে সবাইকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর কবির বলেন, ‘ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় মহাস্থানগড় থেকে যেসব ব্যক্তি তার সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।’

জানা গেছে, রংপুরের ওই ব্যক্তি গায়ে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৮ মার্চ রাতে ঢাকা থেকে ট্রাকে করে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। তবে জ্বরসহ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে ২৯ মার্চ ভোরে তাকে বগুড়ার মহাস্থানগড় এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়। ওই সময় ওই ট্রাকে আরও ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী ছিলেন। এরপর পুলিশের সহযোগিতায় তাকে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি ওই ব্যক্তি নিজেকে হৃদরোগী হিসেবে পরিচয় দিলে কর্তৃপক্ষ তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করান। কিন্তু তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে পরদিন ৩০ মার্চ তাকে শহরের আইসোলেশন ইউনিট বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Comment here