নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে সীমিত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ মঙ্গলবার বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর ডিএসসিসির বুড়িগঙ্গা হলে সাংবাকিদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মেয়র। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারায় ক্ষয়ক্ষতি সীমিত করা গেছে। এর চেয়েও বেশি ক্ষতি হতে পারত। আগুন আরও ব্যাপক হতে পারত, আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যেতে পারত। আমাদের ফায়ার সার্ভিস ও অন্য সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করেছে বলেই দ্রুততার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।’
ডিএসিসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত ব্যথিত ও সঙ্কিত। খুব সহসাই দেখছি, বারবার বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটে চলছে। এর আগে এরকম কোনো নজির দেখিনি, এত ঘন ঘন দুর্ঘটনা ঘটা। ভোর ৬টায় অগ্নিকাণ্ডের পর সব সংস্থা, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ প্রশাসন, সিটি করপোরেশন একত্রিত ও সমন্বিতভাবে সঙ্গে সঙ্গে মাঠে নেমেছে। যার ফলশ্রুতে কোনো জানের ক্ষতি হয়নি। মালামালের ক্ষতিও সীমিত করা গেছে। অনেক মালামাল দ্রুত সরিয়ে নিয়ে গেছে।’
শেখ তাপস বলেন, ‘আগুন সীমারেখা মানে না। পুলিশ হেড কোয়ার্টারেও চলে এসেছিল। সেটাও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সীমিত ক্ষতি মাথায় রেখে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে এবং নির্বাপণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আজকের দিনটা অর্জনের দিন ছিল। পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলাচল ছিল। সকাল থেকে আনন্দ উপভোগ করব, সেখানে এই অগ্নিকাণ্ড। আমরা অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমাবেদনা জানাই। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন ক্ষুদ্র বিনোয়োগকারীদের পুর্নবাসনের।’
বঙ্গবাজারকে আগেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল জানিয়ে ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘এই মার্কেটটা ২০১৯ সালে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তারপরও ব্যবসা পরিচালনা করা হয়েছে। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। এই অগ্নিকাণ্ডের পর বলব যে সমস্ত জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলো যেন এখন থেকে আর ব্যবহার করা না হয়। আমরা ঝঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে দিয়েছি। যারা ব্যবহার করে তাদের দায়িত্ব। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায়, তারা যেন ঝুঁকি মাথায় নিয়ে এই সব মার্কেটে কার্যক্রমগুলো না করে।’
মেয়র বলেন, ‘বঙ্গবাজারের এই মার্কেটে আমরা ১০ বার নোটিশ দিয়েছি। আমরা নতুন ভবন নির্মাণের কার্যক্রম নিয়েছিলাম। ব্যবসায়ীরা সেখানে হাইকোর্টে মামলা করে স্থগিতাদেশ নিয়ে রেখেছে। আমরা নোটিশ দিয়েছি। নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি, আমাদের কাজ করেছি। কিন্তু যারা ব্যবহার করে তাদের দায়িত্ব ছিল এটি ব্যবহার থেকে বিরত রাখা। আমরা জোরপূর্বক বন্ধ করতে পারিনি। কারণ হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।’
শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘স্থগিতাদেশ থাকলে ভেঙে ফেলতে পারব না। সিটি করপোরেশন বা যে কোনো সংস্থা যখন কোনো ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে তখন স্থপনা হিসেবে ঝুকিপূর্ণ নির্ধারণ করি। সেখান থেকে জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।’
Comment here