বরিশালে গাঁজা বিক্রিতে বাধা, যুবককে নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
বরিশালসমগ্র বাংলা

বরিশালে গাঁজা বিক্রিতে বাধা, যুবককে নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টা

বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশালের মুলাদীতে গাঁজা বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় মারধর করে এক যুবককে লঞ্চ থেকে নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া ঢালী বাড়ি লঞ্চঘাট এলাকায় এমভি আঁচল-৬ লঞ্চে এই ঘটনা ঘটে।

ওই যুবকের নাম এমদাদুল হক মনির। তিনি উপজেলার উত্তর পাতারচর গ্রামের এনছার উদ্দীন বেপারীর ছেলে।

থানা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সফিপুর ইউনিয়নের পূর্ব পাতারচর গ্রামের জাকির হোসেন হাওলাদারের ছেলে রাজিব ওরফে টুণ্ডা রাজিব এলাকায় গাঁজা বিক্রি করছিল। ওই সময় এমদাদুল হক মনির তাকে গাঁজাসহ আটক করে পুলিশে সংবাদ দেওয়ার চেষ্টা চালায়। এতে টুণ্ডা রাজিবের সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয় এবং পুলিশ যাওয়া আগেই গাঁজাসহ রাজিবকে নিয়ে যায়।

গত শুক্রবার এমদাদুল হক মনির ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে সফিপুর লঞ্চঘাট থেকে এমভি আচল-৬ লঞ্চে ওঠে। ঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ার কিছু সময় পরেই সোহাগের নেতৃত্বে টুণ্ডা রাজিবের ১৪/১৫ জন সহযোগী মনিরকে মারধর শুরু করে। নিজেকে রক্ষার্থে মনির লঞ্চের ছাদে উঠলে দুর্বৃত্তরা সেখানে গিয়ে তাকে লাঠিসোটা, লোহার রড, টর্চ লাইট দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে জয়ন্তী নদীতে ফেলে দেয়। পরে জেলেরা মনিরকে উদ্ধার করে সফিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে গেলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অপরদিকে হামলাকারীরা মনিরকে লঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়ার পরে ঢালী বাড়ি লঞ্চঘাটে নেমে বিজয় উল্লাস করে। যুবককে হত্যার চেষ্টার বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয় এবং হামলাকারীদের ধাওয়া করে। হামলাকারীরা ভেদুরিয়া খেয়াঘাট দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বোয়ালিয়া ফাঁড়ি পুলিশ ও স্থানীয়রা ১১ জনকে আটক করে মুলাদী থানায় সোপর্দ করে।

এই ঘটনায় আহত এমদাদুল হক মনির বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ উদ্দীন মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি দৈনিক আমাদের সময়কে জানান, ইতিমধ্যে ১১ জন হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Comment here