বাংলাদেশের ২ হ্যাকার গ্রুপের বিরুদ্ধে ফেসবুকের ব্যবস্থা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

বাংলাদেশের ২ হ্যাকার গ্রুপের বিরুদ্ধে ফেসবুকের ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের তিনটি হ্যাকার গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় ফেসবুক নিউজ রুমে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

তিনটি গ্রুপের মধ্যে বাংলাদেশের দুটি হলো ডোন’স টিম, যারা ডিফেন্স অব নেশন নামে পরিচিত। আরেকটি ক্রাইম রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশন বা সিআরএএফ।

ফেসবুকের নেটওয়ার্কের অপব্যবহার, ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বেদখল (হ্যাক), সেই অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আপত্তিকর, উসকানিমূলক, রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট দেওয়া, ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার ছড়ানোর প্রমাণ পেয়েছে ফেসবুকের ইন্টেলিজেন্স দল। আজ ফেসবুক নিউজরুমে প্রকাশিত তথ্যে জানানো, ভিয়েতনামের এপিটি ৩২ এবং বাংলাদেশের ডন’স টিম ও ক্র্যাফের নাম এসেছে।

ফেসবুক ইন্টেলিজেন্স দল এমন প্রমাণ পাওয়ার পর এ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। ফেসবুকে কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘনের ভুয়া রিপোর্ট করে কিছু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করানোর ক্ষেত্রেও তাদের ভূমিকা ছিল বলে জানা গেছে।

এক বিবৃতিতে ফেসবুক বলছে, তাদের তদন্তে বাংলাদেশের দুটো অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে। যারা ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন সেবার সঙ্গেও জড়িত। এসব প্রতিষ্ঠান ভুয়া অ্যাকাউন্ট, মেধাস্বত্ব চুরি, অশ্লীলতা ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়ে ফেসবুককে রিপোর্ট করত।

সেই সঙ্গে তারা ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট ও পেজ হ্যাক করত এবং কিছু ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সেগুলো নিজেদের কনটেন্ট ছড়ানোর মতো কাজে ব্যবহার করত।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের কাজে যে অ্যাকাউন্ট ও পেজগুলো ব্যবহার করা হচ্ছিল, সেগুলো ফেসবুক সরিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের সতর্ক হতে এবং নিজেদের অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরামর্শ দিচ্ছে।

এ ক্ষেত্রে সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করা এবং নির্ভরযোগ্য নয়-এমন উৎস থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে ফেসবুক।

ভিয়েতনামে যে গ্রুপটির বিরুদ্ধে ফেসবুক ব্যবস্থা নিয়েছে, তাদের নাম এপিটি৩২। তারা মূলত দেশটির মানবাধিকার কর্মী, লাওস, ক্যাম্বোডিয়াসহ বিভিন্ন দেশ, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, সংবাদমাধ্যম এবং আইটি, হসপিটালিটি, কৃষি, স্বাস্থ্য, অটোমোবাইল, মোবাইল সার্ভিসসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নিশানা করে ম্যালওয়্যার ছড়ানোর কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।

এ কাজে তারা অধিকারকর্মী বা ব্যবসায়ীর ভুয়া পরিচয়ে খোলা কিছু অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে, আবার কখনো রোমান্টিক প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করত। যাদের তারা টার্গেট করত, তাদের বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য প্রলুব্ধ করা হত, যেগুলো শেষ পর্যন্ত তাদের ডিভাইসে নজরদারির কাজে লাগানো হত।

 

Comment here