বাবার জন্য কাঁদছে দুই মেয়ে, অপেক্ষায় স্ত্রী - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজশাহীসমগ্র বাংলা

বাবার জন্য কাঁদছে দুই মেয়ে, অপেক্ষায় স্ত্রী

কাজে গিয়েছেন বাবা, বাড়িতে তার অপেক্ষায় মেয়ে দুটো কাঁদছে। দীর্ঘ সময় পার হলেও ফিরছেন না তিনি। অপেক্ষা করে আছেন স্ত্রী শরিফা আকতার। শুধু অপেক্ষাই নয়, স্বামীকে খুঁজতে ধরনা দিচ্ছেন নানা জায়গায়। কিন্তু তার অপেক্ষার প্রহর আর শেষ হচ্ছে না।

গতকাল বুধবার এ ব্যাপারে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনও করেন শরিফা। স্বামীকে ফিরে পেতে সাংবাদিক, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সর্ব মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

জানা গেছে, চলতি বছর ১০ জানুয়ারি বাসা থেকে বের হন শরিফার স্বামী মাহমুদ হাসান সরকার (৪০)। টাঙ্গাইল জেলার গড়াই থানার কমপিষ্ট টেক্সটাইল মিলে তার কর্মস্থান। সেখানে কোয়ালিটি কন্ট্রোলার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি।

দিনদুয়েক অপেক্ষার পর স্বামীকে খুঁজতে নেমে পড়েন গৃহবধু শরিফা। কর্মস্থলসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে খোঁজ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে শরিফা অভিযোগ করে জানান, স্বামীর ছবি নিয়ে কমপিষ্ট টেক্সটাইলে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দারোয়ান ছবি দেখে জানান মাহমুদ সেখানে আর কাজ করেন না। মিলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলতে চান শরিফা। কিন্তু তাকে সে পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়নি।

টানা নয়দিন বিভিন্ন জায়গায় স্বামীকে খোঁজ করে ১৯ জানুয়ারি বগুড়া সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন শরিফা আকতার। তার অভিযোগ, পুলিশ তাদের কোনো সহযোগিতা করেনি। স্বামী না থাকায় পরিবারের খরচ চালাতে পারছেন না। তাই বর্তমানে বগুড়া সদরের নিশিন্দারা ইউপির চাঁদপুর (কুমার গাড়ীপাড়া) গ্রামে বাবার বাড়িতেই বসবাস করছেন দুই মেয়ে নিয়ে।

তিনি জানান, প্রতিদিনই বাবার জন্য মেয়ে দুটো কান্না করছে। তাদের কান্না চেপে রাখার কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। অসহায় হয়ে পড়েছেন।

নিখোঁজ মাহমুদ হাসান সরকারের বাবার নাম আব্দুস সামাদ সরকার। তারা গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার রহলা গ্রামের বাসিন্দা। সেখানে এখন শুধু শরিফার শ্বাশুড়ি মাহফুজা বেগম ছাড়া আর কেউ বসবাস করছেন না। স্বামীকে ফিরে পেতে প্রসাশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা চান মাহমুদ হাসানে স্ত্রী শরিফা।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদিউজ্জামান জানান, থানার অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। শীঘ্রই একটা ফলাফল পাওয়া যাবে।

Comment here