নিজস্ব প্রতিবেদক : গণপরিবহনে ১৬ থেকে ২২ শতাংশ ভাড়া বাড়লেও যাত্রীদের ভোগান্তি কমেনি। গতকাল রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো ভাড়া নৈরাজ্যের শিকার হন তারা। যে যেভাবে পেরেছে, যাত্রীদের ‘জিম্মি’ করে বাড়তি ভাড়া আদায় করেছে। যাত্রীরা প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না। সরকার অভিযান পরিচালনার কথা বললেও তা চোখে পড়েনি। যাত্রীরা বলছেন, জ¦ালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর সরকার ভাড়া নির্ধারণ করে দেয় ঠিকই, কিন্তু পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা তা মানেন না।
শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে জ্বালানির নতুন দাম কার্যকর হয়। পরদিন দিনভর সড়কে চলে অরাজকতা। এর পর রাত ১০টার দিকে বাসের নতুন ভাড়া নির্ধারণ করে বিআরটিএ। তার একদিন পর গতকাল রবিবার জারি করা হয় প্রজ্ঞাপন। তবে বাসভাড়ার তালিকা সরবরাহ করা যায়নি। গতকাল বিকাল পর্যন্ত বিআরটিএর সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা ভাড়ার তালিকা তৈরিতে ব্যস্ত ছিলেন।
দূরপাল্লার বাসে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ৪০ পয়সা বেড়ে ২ টাকা ২০ পয়সা হয়েছে। রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ নগর পরিবহনে প্রতি কিলোমিটারে ৩৫ পয়সা বেড়ে হয়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা।
এদিকে নৌপথের ভাড়া পুনর্নির্ধারণ নিয়ে আজ সোমবার দুপুরে লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এ বৈঠক ডাকার
আগে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার প্রেসিডেন্ট মাহবুব উদ্দিন বীরবিক্রমের লেখা চিঠিতে বলা হয়, পদ্মা সেতুর কারণে লঞ্চ ব্যবসায় মন্দা চলছে। এর মধ্যে ডিজেলের দাম বাড়ায় দ্বিগুণ লঞ্চ ভাড়া নির্ধারণের দাবি জানানো হয়। বর্তমানে লঞ্চে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ২ টাকা ৩০ পয়সা।
লঞ্চ মালিকদের দাবি মানলে ঢাকা থেকে চাঁদপুর ৬৮ কিলোমিটারের ভাড়া হবে ৩১২ টাকা। আগে ছিল তা ১৫৬ টাকা। ঢাকা থেকে বরিশাল ১৬১ কিলোমিটারের ভাড়া ৩৫২ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৭০৪ টাকা। আর ঢাকা থেকে পটুয়াখালী ২৫২ কিলোমিটার দূরত্বে ৫৩৪ টাকার ভাড়া হবে ১০৬৮ টাকা।
এদিকে লোকসান কমাতে রেলওয়ে অনেক দিন ধরেই ভাড়া বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ২৫ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে ২০২০ সালের আগস্টে। রুটে ভেদে ৪৩ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব রয়েছে ওই খসড়ায়। ডিজেলের দাম বাড়ানোয় এবার ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তুতি নিচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।
গতকাল সকালে রাজধানীর সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, সব পরিবহনে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। তবে কাউন্টারে নতুন বাস ভাড়ার তালিকা না থাকায় অনেক যাত্রী ভাড়া নিয়ে নানা প্রশ্ন করছেন, কাউন্টারের লোকজনের সঙ্গে তর্কেও জড়াচ্ছেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া নিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার আমাদের সময়কে বলেন, সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায় হচ্ছে কিনা, তা তদারকি করা হচ্ছে। বাড়তি ভাড়া আদায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে নতুনভাবে বাসভাড়া নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো সমিতির এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত নভেম্বরে জ্বালানি তেলের মূল্য লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানোর সময় বাসভাড়া ৩৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। ৯ মাসের মাথায় আবারও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সঠিক ব্যয় বিশ্লেষণ ছাড়া এক লাফে বাসভাড়া আবারও ২২ শতাংশ হারে বাড়ানো হলো।
সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সরকার বাস মালিকদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করলেও সরকার নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর নেই। সিটি সার্ভিসে সরকার কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া নির্ধারণ করলেও বাসে বাসে ওয়েবিলে যাত্রীর মাথা গুনে গুনে ভাড়া আদায় করা হয়।
গতকাল বিআরটিএ অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হয়েছে। দূরপাল্লার প্রায় ৪ শতাধিতক রুটে এ হার পুনর্নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী, ঢাকার গাবতলী থেকে খুলনা ২৭২ কিলোমিটারের ভাড়া ৮৮৬ টাকা, বরিশালে ২৪২ কিলোমিটারের ভাড়া ৭৫০ টাকা। একইভাবে রংপুরের ৩০৮ কিলোমিটারের জন্য ভাড়া ৮৯৮ টাকা। বগুড়ার ১৯১ কিলোমিটারের জন্য ৫৭০ টাকা, পাবনায় ২২৩ কিলোমিটারের জন্য ৬৬০ টাকা, রাজশাহীতে ২৪৭ কিলোমিটারের জন্য ৭২৭ টাকা এবং দিনাজপুরে ৩৩০ কিলোমিটারের জন্য ৯৬১ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছে বিআরটিএ। এর সঙ্গে টোলের টাকাও ধরা আছে। কিন্তু সরকার নির্ধারিত এ তালিকা সরবরাহ না করার অজুহাতে মনগড়া ভাড়া আদায় চলছে। যাত্রীদের অভিযোগ, দূরপাল্লার বাস কোম্পানিগুলো সরকার নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে গিয়ে নিজেদের মতো করে বেশি টাকা আদায় করছে। তবে বাস কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে, তারা এখনো সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা হাতে পায়নি। তালিকা পেলে সে অনুযায়ী ভাড়া নেবে।
গাবতলীতে হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার থেকে জানানো হয়, ঢাকা থেকে আগে কুড়িগ্রামের ভাড়া ছিল ৮০০ টাকা, এখন ১ হাজার টাকা। রংপুরের ভাড়া ছিল ৭০০ টাকা, এখন ৮৫০ টাকা। নওগাঁর ভাড়া ছিল ৫৫০ টাকা, এখন ৭০০ টাকা। পঞ্চগড়ের ভাড়া ছিল ৯৫০ টাকা, এখন ১ হাজার ৪০ টাকা। ঠাকুরগাঁওয়ের ভাড়া ছিল ৯০০ টাকা, এখন ১ হাজার টাকা। খুলনার ভাড়া ছিল ৬৯০ টাকা, এখন ৮০০ টাকা। যশোরের ভাড়া ছিল ৫৫০ টাকা, এখন ৬৫০ টাকা। বরিশালের ভাড়া ছিল ৬০০ টাকা। এখন ৭০০ টাকা। বরগুনার ভাড়া ছিল ৮০০ টাকা, এখন ৮৫০ টাকা। কুয়াকাটার ভাড়া ছিল ৮৫০ টাকা, এখন ৯২০ টাকা। ঝালকাঠির ভাড়া ছিল ৬৫০ টাকা। এখন ৭৫০ টাকা।
শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার থেকে জানানো হয়, তারা আগে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও পর্যন্ত ৮৫০ টাকা ভাড়া নিত। এখন তার সঙ্গে ১০০ টাকা যুক্ত হয়েছে। আগে ঢাকা থেকে দিনাজপুরের ভাড়া ছিল ৭৫০, এখন তা ৭৯০ টাকা। ঢাকা থেকে রংপুরের ভাড়া আগে ছিল ৭০০ টাকা, এখন ৭৪০ টাকা। ঢাকা থেকে গাইবান্ধার ভাড়া আগে ছিল ৬০০ টাকা, এখন ৬৫০ টাকা।
গাবতলীতে ন্যাশনাল ট্রাভেলসের বাসে ঢাকা থেকে রাজশাহীর আগে ভাড়া ছিল ৬০০ টাকা, এখন নেওয়া হচ্ছে ৭২০ টাকা। ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আগের ভাড়া ছিল ৭০০ টাকা, এখন তা নেওয়া হচ্ছে ৮৫০ টাকা।
রাজধানীর সায়েদাবাদের বাস কাউন্টারগুলো ঘুরে দেখা গেছে একেক কাউন্টারে টিকিটের দাম একেক রকম। প্রতি টিকিটে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি নেওয়া হচ্ছে। অনেক যাত্রী আবার বাসভাড়া বৃদ্ধির খবর জানতেন না, এ জন্য তারা পড়েছেন বিপাকে।
শ্যামলী কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম নন-এসি বাসের টিকিটের দাম রাখা হচ্ছে ৬৫০ টাকা। আগে এ টিকিটের দাম ছিল ৫৮০ টাকা। এসি বাসের টিকিটের দাম ছিল ৮০০ টাকা, আজ সেটি নেওয়া হচ্ছে ৯০০ টাকা। এই বাসে ঢাকা থেকে কক্সবাজার নন-এসি বাসের ভাড়া ছিল ৯০০ টাকা, আজ নেওয়া হচ্ছে ১০০০ টাকা। এসি বাসের ভাড়া ছিল ১২০০ টাকা, আজ নেওয়া হচ্ছে ১৩০০ টাকা। ঢাকা থেকে সিলেট নন-এসি বাসের ভাড়া ছিল ৫৭০ টাকা, নেওয়া হচ্ছে ৬৫০ টাকা। এসি বাসের ভাড়া ছিল ৭০০ টাকা, নেওয়া হচ্ছে ৮০০ টাকা। ইউনিক বাসে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের ভাড়া ১২০ টাকা বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে ৭০০ টাকা। সিলেটের ভাড়া ১১০ টাকা বাড়িয়ে ৬৮০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে কক্সবাজারে আগের মতোই ৯০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী বাসে সবচেয়ে বেশি ভাড়া বাড়িয়েছে ইকোনো সার্ভিস। কাউন্টারে গিয়ে জানা যায়, ঢাকা থেকে নোয়াখালীর ভাড়া আগে ছিল ৪৫০ টাকা, ২০০ টাকা ভাড়া বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে ৬৫০ টাকা। ঢাকা থেকে ফেনী রুটে চলাচলকারী স্টার লাইন পরিবহনের নন-এসি বাসের ভাড়া ছিল ৩২০ টাকা, রবিবার সকাল থেকে ৮০ টাকা বাড়িয়ে ৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এসি বাসের ভাড়া ছিল ৩৭০ টাকা, ১০০ টাকা বাড়িয়ে তা ৪৭০ টাকা করা হয়েছে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর ডিজেলচালিত বাস ও মিনিবাসের সর্বোচ্চ ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৩৪ (২) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
সরেজমিন দেখা যায়, গতকাল সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হলেও সকাল থেকে রাজধানীর সড়কে বাসের সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম। ভাড়া নিয়ে জটিলতার শঙ্কায় অনেক মালিক বাস নামাননি। যারা নামিয়েছেন, তারা নিজেদের ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছেন।
কুড়িল থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার। নতুন হার অনুযায়ী এ দূরত্বের ভাড়া আসে ৪০ টাকা। এ পথে চলাচলকারী স্মার্ট উইনার পরিবহনে গতকাল সকাল থেকে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা করে। যাত্রীপ্রতি সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ১০ টাকা করে বেশি নেওয়া হচ্ছে।
মৌমিতা পরিবহনের বাসে সাভার থেকে আজিমপুর পর্যন্ত ভাড়া আগে ছিল ৫০ টাকা। এ পথের দূরত্ব ২৩ কিলোমিটার। নতুন হার অনুযায়ী ভাড়া আসে ৫৮ টাকা। গতকাল সকাল থেকে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬৫ টাকা।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজধানীতে চলাচলকারী বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা। তবে আজ সকাল থেকে কোনো বাসেই সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা নিতে দেখা যায়নি। বিভিন্ন পথে চলাচলকারী লাব্বাইক, এমএম লাভলী, মেট্রো সার্ভিস, বিকাশ পরিবহন, ভিআইপি পরিবহন, স্মার্ট উইনার, সেফটি এন্টারপ্রাইজে সর্বনিম্ন ভাড়া ১৫ থেকে ২০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
গত নভেম্বরে বাসভাড়া ২৬ শতাংশ বাড়ানোর পর বিআরটিএ জোরালোভাবে বলেছিল, তারা ওয়েবিল বন্ধ করে দিয়ে কিলোমিটার হিসেবে ভাড়া আদায় নিশ্চিত করবে। যারা কথা শুনবে না, তাদের রুট পারমিট বাতিলের হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু এ হুমকি ভুলে গিয়ে কদিন পরই বিআরটিএর অভিযান থেমে যায়।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, সারা দেশে প্রায় এক লাখ বাস চলে। মহানগরীতে চলে সর্বোচ্চ ৬ হাজার। এই ৬ হাজার গাড়িতে ঢাকা মহানগরীতে অনেক সময় কিছু কিছু অনিয়ম হয়। এ অনিয়ম রোধ করার জন্য আমরা মালিক শ্রমিকরা, ম্যাজিস্ট্রেটসহ দুই মাস ধরে কাজ করছি।
২০২১ সালের ৪ নভেম্বর ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তখন ডিজেলের দাম ২৩.০৭ শতাংশ বাড়ে। ওই সময় ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে বাস ভাড়া ১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ১৫ পয়সা এবং মিনিবাস ভাড়া ১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আমাদের সময়ের চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, নতুন ভাড়া দূরপাল্লার বাস-মালিকরা মানলেও চালকরা মানছেন না। তারা আরও বেশি ভাড়া আদায় করছেন। এ নিয়ে চালকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত তর্কে জড়াচ্ছেন যাত্রীরা। গতকাল নগরীর জিইসি মোড়, দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, শাহ আমানত সেতু, নিউমার্কেট, কোতোয়ালি ও চকবাজার ঘুরে দেখা যায়, ভাড়া বৃদ্ধির পর নগরীতে গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সকাল থেকে সব রুটে বাস, টেম্পো চলাচল করছে। তবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাস মালিকরা আগের ভাড়াই নিচ্ছেন। তারা এখনো ভাড়া বাড়াননি। আগে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের ভাড়া ছিল ৩৫০ টাকা। সেটা এখনো বহাল আছে। তবে চট্টগ্রাম থেকে মগনামা ও চকরিয়ার বদরখালীর ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। আগে চট্টগ্রাম থেকে মগনামার ভাড়া ছিল জনপ্রতি ১৬০ টাকা। এখন সেটা ২২০ টাকা। আগে বদরখালীর ভাড়া ছিল ২২০ টাকা, এখন ৩০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
Comment here