"বিভাগীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক অভিযোগ" - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
শিক্ষাঙ্গন

“বিভাগীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক অভিযোগ”

তানবির খান, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল জোবায়ের এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে শিক্ষার্থীদের আরেকাংশ। তারা এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ  বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়বাংলা চত্বরের সামনে মানববন্ধন করেন। এ সময় তারা ব্যানার-প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন প্রদর্শন করেন।
মানববন্ধনকারী শিক্ষার্থী একই বিভাগের প্রিতিশ বলেন, “আবদুল্লাহ জোবায়ের স্যার দায়িত্বশীল, সৎ ও কর্মনিষ্ঠ একজন শিক্ষক। ল্যাবের বিষয়ে তারা যে অভিযোগ করছে, তার দায়ভার স্যারের উপর যায়না। এই আন্দোলনের জন্য আমাদের শিক্ষার পরিবেশ ব্যাঘাত ঘটছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানত জ্ঞানচর্চার জন্য, আন্দোলন চর্চার জন্য না।”
আরেক শিক্ষার্থী ইমন বলেন, “স্যরকে ৪ বছর ধরে চিনি, তিনি  কেমন জানি। আন্দোলনে অনেক শিক্ষার্থী হঠাৎ না বুঝেই ঢুকে পড়েছে। তারা ভয় পাচ্ছে যে আন্দোলন সফল না হলে তাদের সমস্যা হবে।  এখানে ব্যক্তিগত ক্ষোভ বা ইন্ধন বা স্বার্থ আছে বলে আমাদের বিশ্বাস। পিছনে কিছু একটা নিশ্চই আছে। আমরা বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে পরিষ্কার হতে চাই।”
এদিকে বিজিই বিভাগের ওই চেয়ারম্যান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ” আনীত অভিযোগগূলো সম্পূর্ণ অমূলক ও ভিত্তিহীন। তারপরও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছি কিন্তু তারা কোনো সহযোগিতা করছেনা। আমাদের কিছু কিছু শিক্ষার্থী ভুলের মধ্যে আছে অথবা তাদেরকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানতুল্য আমরা আশাবাদী যে তারা অতিদ্রুত শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সহয়তা করবে।”
উল্লেখ্য গত ১৩ ই ডিসেম্বর হতে বিজিই বিভাগের পরীক্ষার সময় প্রশ্ন কমন নিয়ে হলের মধ্যে ছাত্রশিক্ষক  কথাবার্তা হয়। এক পর্যায়ে পরিদর্শকের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ এনে বিভাগ থেকে কারন দর্শাতে  বলা হয়। এরই জের ধরে শিক্ষার্থীদের একাংশ ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অযথা কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদানসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ তুলে পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। তারা স্বেচ্ছাচারিতা, বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, ছাত্রবান্ধব না হওয়া, ল্যাব ঠিকঠাক না নেওয়া, রেজাল্ট দিতে দেরি করা, ব্যক্তিগত আক্রোশে রেজাল্টে প্রভাব ফোলানো  ইত্যাদি অভিযোগ আনে। এরপর থেকেই ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের মাধ্যমে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। সর্বশেষ তারা মোমবাতি প্রোজ্জ্বল করে।

Comment here