বরিশাল প্রতিনিধি : রিশালের মুলাদী উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের পর স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বানীমর্দন গ্রামের মোকছেদ হাওলাদারের ছেলে নাঈম (২২)।
নাঈমের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় ওই ছাত্রী আইনের আশ্রয় নিতে সাহস পাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে গতকাল রোববার মুলাদী থানার ওসি জানান, ভুক্তভোগী আইনের আশ্রয় চাইলে পুলিশ তাকে সব ধরনের সহায়তা করবে।
জানা গেছে, নাঈম হাওলাদার এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করার পরে বানীমর্দন গ্রামে একটি গরুর খামার গড়ে তোলেন। খামার আসা যাওয়ার কারণে পাশের বাড়ির সপ্তম শ্রেণি ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের সুবাদে নাঈম বিয়ের প্রলোভন দিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে ওই ছাত্রীকে খামার সংলগ্ন ঘরে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন।
ওই ঘটনার পর ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে সে নাঈমকে জানায় এবং বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু নাঈম বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি কাউকে জানালে ছাত্রীকে হত্যার হুমকি দেন।
এদিকে অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে সে বিষয়েঠ তার পরিবারকে জানায়। ঘটনা শুনে ওই ছাত্রীর বাবা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ছাত্রীকে পুত্রবধূ হিসাবে মেনে নিতে নাঈমের বাবা মোকছেদ হাওলাদারকে অনুরোধ জানান। কিন্তু তিনি কিছুতেই ওই ছাত্রীকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেবেন না বলে জানিয়ে দেন। এতে ছাত্রীর পরিবার হতাশ হয়ে পরলেও নাঈমের প্রভাবশালী পরিবারের ভয়ে থানায় অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছে না।
অভিযুক্ত নাঈম হাওলাদার বলেন, ‘আমি কাউকে ধর্ষণ করিনি। আমাকে ফাঁসানোর জন্য ওই ছাত্রীকে দিয়ে এলাকায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’
মুলাদী থানার ওসি ফয়েজ উদ্দীন মৃধা জানান, ভুক্তভোগী ছাত্রী আইনের আশ্রয় চাইলে পুলিশ প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। একই সঙ্গে দোষীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
Comment here