নিজস্ব প্রতিবেদক ; দেশের মানুষ আওয়ামী অপকর্মের সব ঘটনাই মনে রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আজ বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিধি বহির্ভূতভাবে ও কোনো নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে জনমতকে উপেক্ষার মাধ্যমে একতরফাভাবে জয়পুরহাটে শহীদ জিয়া কলেজের নাম পরিবর্তন করে আওয়ামীকরণের ঘটনা সম্পূর্ণভাবে সরকারের ঘৃণ্য প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষ আওয়ামী অপকর্মের সব ঘটনাই মনে রাখবে। জনগণই আওয়ামী দুঃশাসন অবসানের প্রধান শক্তি। এরা কখনোই দেশের জন্য মঙ্গলজনক কোনো কাজ করেনি। বরং প্রতিনিতই অনাচার ও মানবতাবিরোধী কাজ করছে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা। এদের কারণেই দেশব্যাপী নারী ও শিশু নির্যাতন এক ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের মানুষ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছে। কারো কোনোই নিরাপত্তা নেই। সরকার শহীদ জিয়ার জনপ্রিয়তায় আতঙ্কিত হয়ে সবকিছু থেকে তার নাম মুছে ফেলতে চাইলেও এদেশের মানুষ যুগে যুগে জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করেই তার নামকে অমর করে রাখবে। শহীদ জিয়া ও বিএনপির প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা সেটিকে এ ধরনের অপকর্মের দ্বারা কখনোই নিঃশেষ করা যাবে না। বরং এতে শহীদ জিয়ার প্রতি মানুষের ভালোবাসা আরও বৃদ্ধি পাবে। মানুষের মনে শহীদ জিয়ার নীতি, আদর্শ, দেশপ্রেম এবং গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি অঙ্গিকার চিরঅম্লান হয়ে থাকবে। জয়পুরহাটে শহীদ জিয়া কলেজের নাম পরিবর্তনের নিন্দনীয় ঘটনায় আমরা তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘পাশাপাশি এই অপকর্মের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোক্তাদুল আদনানকে গ্রেপ্তারবিরোধী দলের ওপর আতঙ্কিত সরকারের নির্মমতা ও কাপুরুষতারই বহিঃপ্রকাশ। সরকার নিজেরে অপকর্ম ঢাকতেই সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে মোক্তাদুল আদনানকে গ্রেপ্তার করেছে। আমি তাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।’
Comment here