এই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনি। ঢাকাই সিনেমার ‘গ্ল্যামার গার্ল’ বলা হয় এই চিত্রনায়িকাকে। অথচ পরীমনিকে নাকি চেনেন না জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণী অভিনেত্রী ইলোরা গহর। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী মেহজাবিন, সাফা কবির, সাবিলা নূরকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করেন ইলোরা গহর।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘পরীমনির নাম শুনছি, চিনি না। যে নায়িকার ছবি দেখে চিনতে না পারলাম… পরীমনি, মাহি কে? এরা সব বড় লোকদের বিয়া কইরা ফালাইতাছে। এরা আসছে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। এরা কেউ নায়িকা নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরীমনিকে দেখলে তো এখন পর্যন্ত চিনি না। তাহলে কেমনে কইরা নায়িকা হইলো।’
আর সাক্ষাৎকারে শবনম বুবলীর নাম শুনে চমকে ওঠেন ইলোরা গহর। এছাড়াও নুসরাত ফারিয়াকে নাটকের নায়িকা মনে করেন তিনি। চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমের কাজও তার ভালো লাগে না। চলচ্চিত্রে চিত্রনায়ক শাকিব খানকে ছাড়া আর কোনো নায়ককে দেখেন না এই অভিনেত্রী।
সাক্ষাৎকারে ইলোরা গহরের প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীর সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এ সময় মেহজাবিন চৌধুরী অভিনয় জানেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি। ইলোরা গহর বলেন, ‘মেহজাবিন দেখতে সুন্দর। তবে একদমই অভিনয় জানে না।’ সাফা কবির প্রসঙ্গ আসতে ইলোরা গহর হতভম্ব হয়ে জানতে চান, ‘সাফা, এরে তো আমি চিনিই না।’
‘সাবিলা নূর মিডিয়ার এসে নিজের জায়গা ধরে রাখতে পারেনি। তার শিল্পী হওয়ার যোগ্যতা নেই’ বললেন ইলারা গহর।
অপূর্বর অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অপূর্বর অভিনয় আমার ভালো লাগে না। অভিনয়ে নিজস্ব স্টাইল দিয়ে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন এই শিল্পী।’
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত গীতিকবি নয়ীম গহরের মেয়ে অভিনেত্রী ইলোরা গহর। ১৯৭৯ সালে মসিহউদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলী পরিচালিত ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ইলোরা গহর প্রথম নাটকে অভিনয় করেন আবদুল্লাহ আল মামুনের রচনা ও আতিকুল হক চৌধুরীর প্রযোজনায় ‘তুমি সেই প্রজাপতি’ নাটকে। ১৯৮৯ সালে বিটিভিতে সর্বশেষ এ দুইজন মানুষের রচনায় ও প্রযোজনায় অভিনয় করেন ‘অসময়ের অতিথি’ নাটকে। বিরতির পর মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’ ও ‘চড়ুইভাতি’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বেশ আলোচনায় আসেন তিনি।
Comment here