স্পোর্টস ডেস্ক : যুব বিশ্বকাপে ভারতকে তিন উইকেটে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। অধিনায়ক আকবর আলীর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তিন উইকেটে বিশ্বজয় করে বাংলাদেশ। জয় থেকে যখন মাত্র ১৫ রান দূরে তখন বৃষ্টি নামে পচেফস্ট্রুমের আকাশে। বৃষ্টিতে খেলা না হলে চ্যাম্পিয়ন হতো বাংলাদেশই। আবার শুরু হওয়ায় বৃষ্টি আইনে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র সাত রানে। যা নিতে আকবর আলীদের কোনো কষ্টই হয়নি।
অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন আকবর, তার ৭৭ বলে ৪৩ রানের ইনিংসেই মূলত জয় পেতে সহজ হয়। যুবাদের হাত ধরে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
বৃষ্টি আইনে লক্ষ্য আর কমেছে
বৃষ্টির কারণে বন্ধ রয়েছে খেলা। আর খেলা না হলে বৃষ্টি আইনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে বন্ধ রয়েছে খেলা। আর খেলা না হলে বৃষ্টি আইনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ১৮ রানে। বৃষ্টির আগ পর্যন্ত যুবাদের সংগ্রহ সাত উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান। ক্রিজে আছেন আকবর আলী ৪২ ও রাকিবুল হাসান ৩ রানে। ওভার বাকি আছে ৯টি। যদি খেলা শুরু হয় তাহলে সাত রান করলেই চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।
আকবর আলীর দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আকবর আলীকে যুব বিশ্বকাপে তেমন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়নি। হয়তো সবকিছু জমা ছিলো ফাইনালের জন্যই। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালের মহারণে এই আকবরের দিকেই তাকিয়ে আছে ষোলো কোটি বাঙালি, তার ব্যাট হাসলেই যে হাসবে গোটা বাংলাদেশ।
সাজঘরে ইমন, কঠিন চাপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখছিল তার ব্যাটে। সঙ্গে ছিলেন আকবর আলী। কিন্তু না, স্বপ্ন জয় করে ফিরতে পারলেন না এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৪৭ রান করে জয়সওয়ালের বলে আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশকে চাপে ফেলে।
আকবর-ইমনের ব্যাটে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছেড়ে গিয়েছিলেন ওপেনার ইমন। ষষ্ঠ উইকেটে অভিষেক দাস আউট হওয়ার পর আবারও ক্রিজে আসেন ব্যাট করতে। সঙ্গে আছেন অধিনায়ক আকবর আলী। এ দুজনের ব্যাটেই বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।
আবার নেমেছেন ইমন
এক রবি বিষ্ণুর বোলিংয়ের কোনো জবাব নেই যেনো বাংলাদেশের যুবাদের কাছে। বিষ্ণু একাই চার উইকেট নিয়ে ধস নামিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের বযাটিং লাইনআপে। তার ঘুর্ণির শিকার হয়ে একে একে সাজঘরে ফেরেন তামিম, জয়, হৃদয় ও শাহাদাত। ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়া ইমন আবারও মাঠে ফিরেছেন ব্যাট হাতে।
বাজে শটে আউট অভিষেক
শামীমের সঙ্গী হলেন অভিষেক দাসও। বোলিংয়ে দুর্দান্ত করা এই বোলার মিশ্রার বাউন্স উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন কার্তিক তিয়াগির হাতে।
অযথা মারতে গিয়ে আউট শামীম
প্রয়োজন ছিলো ক্রিজে থাকা অধিনায়ক আকবর আলীকে সঙ্গ দেওয়া। সঙ্গতো দেননি উলটো দলকে বিপদে ফেলে অযথা মারতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন শামীম হোসেন। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে সাত রান।
আবারও বিষ্ণুর আঘাত
রবি বিষ্ণু আবারও আঘাত হানলেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। বিষ্ণুর বলে উইকেটরক্ষক ধ্রুব জুরেলের দুর্দান্ত স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে মাত্র ১ রান করে ফেরেন শাহাদাত হোসাইন।
ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়লেন ইমন
বাম পায়ের শিরায় টান পড়লে আর ব্যাটই করতে পারেননি ওপেনিংয়ে নামা পারভেজ হোসেন ইমন। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪২ বলে ২৫ রান। চারটি চারের মারে তিনি ইনিংসটি সাজিয়েছেন। ব্যাটিং করতে এসেছেন নতুন ব্যাটসম্যান শাহাদাত।
বিষ্ণুর জোড়া আঘাতে ফিরে গেলেন জয় হৃদয়
সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে ফাইনালে নিয়ে আসা জয় আজ ফেরেন মাত্র আট রান করেই। বিষ্ণুর বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। জয়ের পর ব্যাটিং করতে এসে হৃদয়ও শিকার হন বিষ্ণুর। তিনি ফেরেন ০ রানে।
উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাজঘরে তামিম
টার্গেটে খেলতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ও ইমনের ব্যাটে দুর্দান্ত শুরু করে বাংলাদেশ। দলীয় ৫০ রান করে ফেলে ৯ ওভারেই। রবি বিষ্ণুর বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন তানজীদ হাসান তামিম।
১৭৮ রান করলেই বিশ্বকাপ বাংলাদেশের ঘরে
আইসিসি আয়োজিত কোনো টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশের যুবারা। ফাইনালে দুর্দান্ত বোলিং-ফিল্ডিং করে যুবারা ১৭৭ রানের বেশি করতে দেননি ভারতকে। টাইগার বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইতিহাস সৃষ্টির খুব কাছে অবস্থান করছে বাংলাদেশ, এবার ব্যাটসম্যানদের পালা। ১৭৮ রান করতে পারলেই বিশ্বকাপ নিয়েই ঘরে ফিরবেন আকবর আলীরা।
পচেফস্ট্রুমের সেনওয়েজ পার্কে আজ রোববার টস জিতে ফিল্ডিং নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী। শুরুতেই কৃপণ বোলিংয়ে ভারতীয়দের চেপে ধরে যুবা টাইগাররা। প্রথম সাত ওভারে মাত্র ৯ রান নিতে পেরেছে ভারত। নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই ওপেনার সাক্সেনাকে সাজঘরে পাঠান অভিষেক দাস। ৯ রানে এক উইকেট হারিয়ে বাজে শুরু করে ভারত। তবে ক্রিজে থাকা ওপেনার জয়সওয়াল নতুন ব্যাটসম্যান তিলক ভার্মাকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। তিলক ৩৮ রানে আউট হলে ভাঙে ৯৪ রানের জুটি। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে যুবারা।
তবে ক্রিজে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন জয়সওয়াল। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যান আজও গিয়েছিলেন
ভারতকে হারাতে পারলেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস লিখে ফিরবেন আকবর আলীরা। তার ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ১২১ বলে ৮৮ রান আসে। জয়সওয়াল আউট হওয়ার পর ভারত বাকি ছয় উইকেট হারায় মাত্র ২১ রানের ব্যবধানে। শরীফুলের জোড়া আঘাতের পর জোড়া রানআউট মূলত ভারতকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়।
ধ্রুব জুরেল চেষ্টা করছিলেন কিন্তু তিনি ২২ রানের মাথায় ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন। বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন অভেষেক দাস। তিনি হাসান মুরাদের পরিবর্তে আজ একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন। ৯ ওভারে মাত্র ৪০ দিয়ে নেন তিন উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন শরীফুল ইসলাম ও তানজীম হাসান সাকিব।
Comment here