ভারত থেকে চাল আমদানি অনিশ্চিত - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

ভারত থেকে চাল আমদানি অনিশ্চিত

বাজার সরবরাহ স্বাভাবিক করতে সরকার ভারত থেকে ৮৩ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দিচ্ছে ৩০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে। এর মধ্যে ৪৯ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল ও ৩৪ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল রয়েছে। চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে চাল রপ্তানিতে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় আমদানি অনিশ্চিতের মুখে পড়েছে।

গত বৃহস্পতিবার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই ৩০ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৮৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান হোছাইনি স্বাক্ষরিত চিঠিতে চাল আমদানি শর্তে বলা হয়, বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাতকরণ করতে হবে। আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাত করার তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানাতে হবে।

বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে বলেও শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্প্রতি দেশের সর্বত্র চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে বেসরকারিভাবে প্রথম ধাপে ৮৩ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৩০টি প্রতিষ্ঠাকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণের কারণ দেখিয়ে ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের বাইরে ২০২২ সালের ২০ জুলাই থেকে সেদ্ধ ও আতপ চাল রপ্তানি বন্ধ রেখেছে। এতে প্রায় দুই বছর ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে।

বেনাপোল আমদানি, রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, বাংলাদেশ সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিচ্ছে। তবে ভারত সরকার চাল রপ্তানিতে তাদের নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল আছে। তাই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে আমদানি সম্ভব হবে না। এ ছাড়া দেশের বাজারে চালের দাম কমাতে ভারতে চালের ওপর যে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে তা শিথিল করা দরকার।

উল্লেখ্য, বছরে দেশে চালের চাহিদা ২ কোটি ৫৮ লাখ মেট্রিক টনের মতো। চাল উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ। চাল উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ চাল আমদানিতেও রয়েছে তৃতীয় স্থানে। দেশে চাহিদার তুলনায় চাল উৎপাদন বেশি হলেও ভবিষ্যৎ মজুদ আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে চাল আমদানি করে মজুদ করতে হয়। যার বড় একটি অংশ আসে ভারত থেকে।

Comment here