রাজনীতি

ভোট, শুদ্ধি অভিযান ও সম্মেলনে আ.লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বছরের শুরুতে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। বছর শেষ করেছে দল ও সহযোগী এবং অঙ্গসংগঠনের সম্মেলনের মাধ্যমে শুদ্ধি অভিযান দিয়ে।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হলেও চলতি বছরের শুরুতে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। জাতীয় নির্বাচনের রেষ না কাটতেই শুরু হয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন দলীয় প্রার্থীরা।

বছরের শেষ দিকে শুরু হয় একের পর এক সম্মেলন। নির্বাচনী ইশতেহারে দুর্নীতি রোধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ। দল ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের আগেই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার দেশকে ঘুষ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত করতে শুদ্ধি অভিযান চালায়। অভিযানের শুরু হয় দলের মধ্য থেকেই। ১৮ সেপ্টেম্বর যুবলীগ নেতা খালিদ মাহমুদ গ্রেপ্তার হন। এর পর ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ক্যাসিনো কর্মকা-ের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছারকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়; এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথকে সংগঠনের সম্মেলনের কার্মকা- থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

শুদ্ধি অভিযানের প্রভাব পড়ে দল ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনেও। তুলনামূলকভাবে বিতর্কিতদের বাদ দেওয়া হয় পদ থেকে। বাংলাদেশ কৃষক লীগ গত ৬ নভেম্বর, শ্রমিক লীগ ৯ নভেম্বর, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ১৬ নভেম্বর ও ২৩ নভেম্বর আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনগুলোর মধ্যে নতুন আমেজ সৃষ্টি করা হয়। তার মধ্যে ১১ নভেম্বর মহানগর দক্ষিণ ও ১২ নভেম্বর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন হয়। গত ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জাতীয় সম্মেলন হয়েছে। সেই কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নবমবারের মতো সভাপতি হন। দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী সাময়িকী ফোর্বস বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় ২৯তম অবস্থানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন গবেষণা সংস্থা দ্য স্ট্যাটিসটিক্স শেখ হাসিনাকে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করে।

বছরের মাঝামাঝিতে গুরুতর অসুস্থ হন ওবায়দুল কাদের। সিঙ্গাপুরে তার সফল ওপেন হার্ট সার্জারি হয়। দুই মাস ১১ দিন পর সুস্থ হয়ে তিনি দেশে আসেন।

Comment here

Facebook Share