খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে ১১ মার্চ বিক্ষোভ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজনীতি

খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে ১১ মার্চ বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদার জিয়ার মুক্তি দাবিতে ১১ মার্চ বুধবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এ ছাড়া করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।

গতকাল শনিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, কারাবন্দি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা আবার দেখা করেছেন।

এর পর তারা যা জানিয়েছেন তা খুবই উদ্বেগজনক। নেত্রীর এতটুকু শারীরিক উন্নতিও হয়নি বরং অবনতির দিকে যাচ্ছে। তারা বলেছেন, এটা আরও উদ্বেগজনক যে, তাকে (খালেদা জিয়া) আমরা ফিরে পাব কিনা নিশ্চিত নই। এটা শুধু বিএনপিই নয়, গোটা জাতিকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। আমরা বারবার বলছি; চেষ্টা করছি; আইনি উদ্যোগ নিচ্ছি; রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিন্তু এ ব্যাপারে এতটুকু কর্ণপাত করা হচ্ছে না। আমরা আবারও বলছি, অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এ দাবিতে আমরা আগামী বুধবার সারাদেশের মহানগর পর্যায়ে ও জেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আজকের সভায় আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে আমরা লিফলেট বিতরণ করব। ড্যাবসহ অঙ্গসংগঠনগুলো এ বিষয়ে কাজ করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। যদিও সরকার দাবি করছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি পাওয়া যায়নি। অথচ আজকেই আইইডিসিআরের পরিচালক (মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা) বলেছেন যে, যে কোনো মুহূর্তে বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমরা বলছি যে, প্রত্যেকটি পোর্টে স্ক্যানিং মেশিন থাকা দরকার, লোকবল থাকা উচিত। ডায়াগনসিস করার জন্য যে কিটস তার অপ্রতুলতা আছে, পাওয়া যাচ্ছে না, মাস্কেরও যথেষ্ট অপ্রতুলতা রয়েছে। একই সঙ্গে ইমার্জেন্সি হসপিটাল ওপেন করে দেয়া উচিত ছিল, যেখানে আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হবে। কিন্তু সরকার এ পর্যন্ত এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে বলে আমরা জানতে পারিনি।

Comment here