নিজস্ব প্রতিবেদক :রাজধানীর মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত সাত জন নিহত হয়েছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম আজ রোববার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট সাত জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
এর আগে রোববার সন্ধ্যার দিকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে মগবাজার এলাকা কেঁপে ওঠে। এতে তিনতলা একটি ভবন ধসে পড়ে। তার আশপাশের ডজনখানেক ভবনের কাচ চৌচির হয়ে ভেঙে পড়ে। বিস্ফোরণের শব্দে সড়কে থাকা গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে। এ সময় পথচারী ও গাড়িতে থাকা অনেকেই আহত হয়েছেন।
বিস্ফোরণের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আলাউদ্দিন জানান, এখন পর্যন্ত হাসপাতালে এসেছেন ৩০ জন। তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঢামেক হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল
মুক্ত আওয়াজ কে বলেন, আহত হয়ে বার্ন ইউনিটে এসেছেন ১২ জন। তাদের মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। আহতদের দুজনকে আইসিইউ-তে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে মগবাজার প্লাজায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট পাঠানো হয়।’
ভয়াবহ এ বিস্ফোরণের কারণ জানা যায়নি। বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থা ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘বৈদ্যুতিক সংযোগজনিত কোনো কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটেনি বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। ওই এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। মাঝে সতর্কতামূলক কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ করা হয়েছিল।’
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্ধন বলেন, ‘তিনতলা ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। অনেক ফ্রিজ থাকে সেখানে, তা থেকে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।’ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক সাজ্জাত হোসেন বলেন, ‘গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণ হতে পারে। তবে তদন্তের পরই তা স্পষ্ট হওয়া যাবে।’
তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের যারা কাজ করেছে, তাদের সাথে কথা বলে যেটা বুঝেছি যে, এখানে কিছু গ্যাস জমে ছিল এবং এই গ্যাস বিস্ফোরণের কারণে আশপাশের সাতটা বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দুইটা বাস বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।’
Comment here