মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক কে হুমকি ও গালিগালাজ'র অভিযোগ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক কে হুমকি ও গালিগালাজ’র অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ভয়েস বিডি’র সম্পাদক, কালের কন্ঠ শুভ সংঘের (মনোহরদী) উপদেষ্টা, মনোহরদী সাংবাদিক ফোরামের উপদেষ্টা, গ্রামীণ দর্পন এর স্টাফ রিপোর্টার কাজী শফিকুল ইসলাম শাকিলকে মোবাইল ফোনে হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন, নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান বীরু।

 

মোবাইল ফোনে শাকিলের সাথে মনোহরদী উপজেলার চেয়ারম্যান বীরু’র কথোপকথনের একটি অডিও বুধবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তোলপাড় শুরু হয়েছে পুরো নরসিংদী জেলায়। সমালোচনার ঝড় উঠেছে চেয়ারম্যান বীরু কে নিয়ে। হুমকি ও গালিগালাজের ঘটনায় কাজী শফিকুল ইসলাম শাকিল শেরেবাংলা থানায় জিডি করতে গেলে লকডাউন থাকার জিডি গ্রহণ করেনি। এরপর ৯৯৯ এ ফোন করে অভিযোগ দাখিল করেন শাকিল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, গতকাল (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১:৩০ এর দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান বীরু সাহেব আমাকে মোবাইলে কল করে বিকৃত, কুরুচিপূর্ণ ও অকথ্য ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করে। ওনার অনুমতি ছাড়া কিছু লিখা যাবে না। ওনি হুমকিও দেন। এ অবস্থায় আমি আশঙ্কা করছি। শাকিল বলেন, “গত ১১ এপ্রিল ফেসবুকে আমি একটি স্ট্যাটাস দেই। স্ট্যাটাসটি ছিল— ‘মনোহরদী উপজেলার চেয়ারম্যান জনপ্রতিনিধি ওনি চাকরি করেন না।

 

সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহন করিয়া এই দূর্দিনে জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে ঢাকায় বসে আছেন? জনগণের বিপদে হারিকেন জ্বালিয়েও ওনাকে খোঁজে পাওয়া যায় না। নিজের পকেট থেকে গরিব মানুষের জন্য সাহায্য করার মন মানসিকতা না থাকলে ভোটে দাড়ান কেন? শিক্ষা নিন আশেপাশের উপজেলা চেয়ারম্যানরা কি করছে?পলাশ ;শিবপুর ;নরসিংদী সদর চেয়ারম্যানগন। আমাদের পাশের উপজেলা বেলাবরের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আপা নিজের একাউন্টের সম্মানি ভাতা এবং ভাইদের বেতন নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। আর আপনার ভূমিকা জনগণ বিচার করবে। মনোহরদীর জনগণ এত সম্মান দিল তার বিনিময়ে আপনি এই বিপদে কি দিলেন? পাঁচ বার উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন। বি:দ্র: জনগণের সেবা ছাড়া যদি চেয়ারম্যান হওয়া যায় জনগণের খবর নেওয়ার কি দরকার?’ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ৩ মিনিটের অডিওটি শুনে সাংবাদিক শাকিলের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এছাড়া চেয়ারম্যান বীরু অডিওতে থাকা কথোপকথনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান বীরু বলেন, ‘শাকিল আমাকে ব্যাক্তিগত ভাবে পছন্দ করে না। আমাকে নিয়ে ফেসবুকে আজে বাজে লিখে এই নিয়ে আমি কল করে শুধু একটা ধমক দিয়েছি।

 

আমি বলেছি আমাকে ভালো না লাগলে আমার ভালো খারাপ কিছুই লেখার দরকার নেই। ওর ফ্যামিলির সাথে ওর বাবার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল সে তো আমার সাথে এমন করতে পারে না৷ তাই একটু রাগ হয়ে গেছি একটু ধমক দিয়েছি। আমি সর্বোচ্চ চেস্টা করি আমার উপজেলার মানুষের সেবা করার জন্য। সেই সাথে আমার পরিবার কেও তো দেখতে হবে।

 

আমার পরিবার ঢাকায় থাকে। মাঝে মধ্যে ঢাকায় আসতে হয়। করোনার মহামারীতে সরকারের নির্দেশ মেনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু এই কথোপকথনের অডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাওয়াটা দুঃখজনক।’

Comment here