ঢালিউডবিনোদন

মিলার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

সাবেক স্বামী পারভেজ সানজারির বিরুদ্ধে দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ফেঁসে গেলেন জনপ্রিয় পপশিল্পী মিলা। ২০১৭ সালে মিলার দায়ের করা মামলার চার্জ গঠন হয়েছে ২০১৮ সালে। কিন্তু দেড় বছর ধরে মিলা সাক্ষী দিতে যাচ্ছেন না। তার বিরুদ্ধে আদালত একাধিকবার সমন জারি করে। অবশেষে গত রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ মিলার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এ বিষয়ে দৈনিক আমাদের সময় অনলাইন-এর পক্ষ থেকে মিলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনিও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মিলা বলেন, ‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে আমিও শুনেছি। আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সানজারি এসব কি করছে। ও এত বড় অপরাধ করে, এখন উল্টা আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আপনারা জানেন, কিছুদিন আগে সানজারি আমার বিরুদ্ধে এসিড মামলা করেছে। আমার আইনজীবী এখন সেই মামলা নিয়ে ব্যস্ত। এসিড মামলায় এখনও পর্যন্ত আমার সম্পৃক্ততার কিছুই পাওয়া যায়নি। কিন্তু এই মামলায় আমাকে ফাঁসিয়ে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে আবার এই ঘটনা।’

শুনানিতে হাজির না হওয়া প্রসঙ্গে এই শিল্পী বলেন, ‘শুনানিতে আমি হাজির হবো কীভাবে, এতদিন তো আমার পক্ষের আইনজীবীই ছিল না, বিষয়টি তো আমি বলতেও পারছি না। আর এখন সাক্ষী দেব কীভাবে? আমার ছেলেটা (মিলার সহযোগী জন পিটার কিম) তো পালিয়ে গেছে। এই ছেলেটাও তো এই মামলার একজন সাক্ষী। কি বলবো, আমাকে ফাঁসানোর জন্য সানজারি নানা পরিকল্পনা করছে।’

মিলার প্রাক্তন স্বামী বৈমানিক পারভেজ সানজারি বলেন, ‘আমাকে ও আমার পরিবারকে ছোট করতে মিলা মিথ্যা মামলা সাজিয়েছিল। সাজানো এই মামলার কোনো তথ্যপ্রমাণ সে আদালতে দিতে পারেনি। আদালতে আমি হাজিরা দিয়েছি কিন্তু শুনানিতে সে নিজেই আসেনি। তাই তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। শুধু তাই নয়, কেন তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তাও মিলার আইনজীবীর কাছে জানতে চেয়েছে ট্রাইব্যুনাল।’

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের মে মাসে পারিবারিকভাবে বৈমানিক পারভেজ সানজারির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মিলা ইসলাম। বিয়ের পর গানে হয়ে পড়েন অনিয়মিত। জড়িয়ে যান সংসার জীবনের দ্বন্দ্ব-বিবাদে। নারী নির্যাতন-যৌতুকের অভিযোগে এনে স্বামী সানজারীর বিরুদ্ধে মামলাও করেন তিনি। সবশেষে, সংসার জীবনের ইতি টানেন পপ গানের এই শিল্পী।

Comment here

Facebook Share