মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের জন্যই মোদিকে আমন্ত্রণ : তথ্যমন্ত্রী - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের জন্যই মোদিকে আমন্ত্রণ : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে অন্য কোনো দেশের যদি এককভাবে সবচেয়ে বেশি অবদান থাকে, সেটি হচ্ছে ভারত এবং ভারতের জনগণ।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে এবং বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করার জন্য ভারতের যে অবদান, সে সমস্ত বিবেচনাতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’

আগামী ১৭ মার্চ মুজিববর্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘নরেন্দ্র মোদি’র আগমন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উত্থাপিত প্রশ্নের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একটি হচ্ছে তাদের রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য ভারত বিরোধিতার ধারাবাহিকতা রক্ষা, আরেকটি হচ্ছে বাংলাদেশে যে বিশ্বে উদাহরণযোগ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে, তার বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়া। আমি আশা করব, তারা সেই পথ পরিহার করবেন।’

‘মনে রাখতে হবে, যখনই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা হয়েছে, তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তা কঠোর হস্তে দমন করেছে’, যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের দেশের এক কোটি মানুষ ভারতে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। তৎকালীন ভারত সরকার তখন সর্বাত্মভাবে আমাদেরকে সহযোগিতা করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য তৎকালীন ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রিরা গান্ধী বিভিন্ন দেশে ছুটে গিয়েছিলেন এবং আন্তর্জাতিক চাপ ও বিশ্ব জনমতের কারণেই পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। এবং ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলেও ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি যেদিন জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন, সেদিনই প্রকৃতপক্ষে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন মুজিববর্ষকে সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। মানুষ উন্মুখ হয়ে বসে আছে। ১৭ মার্চ মুজিববর্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেশ কয়েকমাস আগে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। এবং প্রতিবেশি অনেক রাষ্ট্রকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদি ভারতের অংশগ্রহণ না থাকে, আমি মনে করি তাহলে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা পূর্ণতা পায় না। সুতরাং এখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

Comment here