যুবলীগের সম্মেলন নিয়মিত হচ্ছে না - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজনীতি

যুবলীগের সম্মেলন নিয়মিত হচ্ছে না

আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়মিত হলেও দলটির সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সম্মেলন নিয়মিত হচ্ছে না। সর্বশেষ সম্মেলনের পর কেটে গেছে ৭ বছর। যদিও সংগঠনটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বক্তব্য ভিন্ন। তারা বলছেন, সম্মেলন করার জন্য যুবলীগের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। সংগঠনটির সরাসরি অভিভাবক আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যখন বলবেন তখনই সম্মেলন হবে। সম্মেলন করার মতো সার্বিক প্রস্তুতিও তাদের রয়েছে।

এদিকে সম্মেলন আয়োজনের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না যুবলীগের নতুন নেতৃত্বপ্রত্যাশীরা। তারা রীতিমতো হতাশ। ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকে বিদায় নেওয়া অনেক নেতাই যুবলীগের নেতৃত্বপ্রাপ্তির প্রত্যাশা করছেন; কিন্তু সম্মেলন না হওয়ায় তাদের সে প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না।

জানা গেছে, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি ৩ বছর অন্তর যুবলীগের সম্মেলন হওয়ার কথা। সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৪ জুলাই যুবলীগের ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেস বা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় দীর্ঘ ৯ বছর পর। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সেই কমিটিরও মেয়াদ ফুরিয়েছে ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চারটি সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন। ঘোষিত সংগঠনগুলোর সম্মেলন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। পাশাপাশি এ সময় তিনি যুবলীগসহ আরও দুই সহযোগী সংগঠন- স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও কৃষক লীগের সম্মেলনের তারিখ শিগগিরই ঘোষণা করার কথা বলেছিলেন; কিন্তু সেই তারিখ আর ঘোষণা হয়নি।

দলীয় নেতাকর্মীদের মতে, যুবলীগ সব সময় আওয়ামী লীগের ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করেছে, রাজপথে সক্রিয় থেকেছে। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে প্রতিদিনই কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিল। মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও হারুনুর রশিদ নেতৃত্বে আসার পর এবং দল ক্ষমতাসীন হওয়ায় রাজপথে সরকারবিরোধী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে না হলেও হরতাল-অবরোধ ইত্যাদির বিরুদ্ধে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে সক্রিয় ছিল যুবলীগ। তবে দিবসভিত্তিক কর্মসূচিসহ বিভিন্ন পুস্তক ও প্রকাশনার মাধ্যমে বিভিন্ন মহলে সাড়া ফেলেছে। প্রায়ই বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা, কর্মিসভা ও প্রকাশনা উৎসব করছে সংগঠনটি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্রলীগের বিগত দুই কমিটি মাহমুদ হাসান রিপন ও মাহফুজুল হায়দার রোটন এবং বদিউজ্জামান সোহাগ ও সিদ্দিকী নাজমুল আলমের কমিটিতে যারা ছিলেন; তাদের অনেকেই যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পদপ্রত্যাশী। এদের অনেকে আবার যুবলীগের বর্তমান কমিটির কাছে জীবনবৃত্তান্তও জমা দিয়ে রেখেছেন। তাদের মধ্যে দ্ইু-একজনকে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক বা সদস্য করা হলেও অন্যরা আছেন সম্মেলনের আশায়।

এ বিষয়ে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ আমাদের সময়কে বলেন, আমরা সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত। যুবলীগের সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে প্রধান অতিথি করা হয়ে থাকে। তাই উনি সময় দিলেই সম্মেলন হবে। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কমিটিগুলোর বেশিরভাগেরই সম্মেলন হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর প্রতিষ্ঠা করা হয়। সংক্ষেপে যুবলীগ নামেই সংগঠনটি পরিচিত। এটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব অঙ্গসংগঠন। এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি। বাংলাদেশের আন্দোলন-সংগ্রামে যুবলীগের নেতাকর্মীদের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের আন্দোলনে শহীদ হওয়া নূর হোসেন ছিলেন যুবলীগেরই সক্রিয় কর্মী।

Comment here