বরিশাল ব্যুরো :বরিশালের মুলাদীতে যৌতুকের দাবিতে পুত্রবধূকে পানিতে চুবিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শাশুড়ির বিরুদ্ধে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মুলাদী সদর ইউনিয়নের নাবাবের হাট এলাকার মো. আবুল কালাম বেপারীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম তার পুত্রবধূ প্রিয়া আক্তারকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।
প্রিয়া আক্তার উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের কাওসার সিকদারের কন্যা এবং মো. ইব্রাহীমের স্ত্রী। প্রিয়া জানান, প্রায় ২ মাস আগে কালাম বেপারীর ছেলে ইব্রাহিমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার শাশুড়ি নগদ ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল যৌতুক হিসেবে আদায় করে। বিয়ের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই শাশুড়ি মরিয়ম বেগম তাকে মারধর করতেন।
প্রিয়া জানান, রোববার স্বামী ইব্রাহিম নির্মাণ কাজে বাড়ি থেকে বের হলে তাকে বাবার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা এনে দিতে বলেন শ্বাশুড়ি মরিয়ম বেগম। সে টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানালে মরিয়ম বেগম তাকে মারধর শুরু করেন। মারধরের একপর্যায়ে প্রিয়া দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে বাবার বাড়ির উদ্দেশে মুলাদী পশ্চিম তেরচর রাস্তার মাথা খেয়াঘাটে পৌঁছায়। শ্বাশুড়ি পিছু নিয়ে করে খেয়াঘাট পৌঁছে প্রিয়াকে খেয়া থেকে টেনে হিঁচড়ে আড়িয়ালখাঁ নদীতে নামিয়ে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা চালান।
এসময় স্থানীয়রা প্রিয়াকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং শ্বাশুড়ি মরিয়মকে আটক করে পুলিশে দেন। এই ঘটনায় প্রিয়া আক্তার বাদী হয়ে মুলাদী থানায় শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রিয়ার স্বামী ইব্রাহিম জানান, তিনি রোববার সকালে কাজে বেড়িয়েছেন। স্ত্রীকে মারধরের সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে এসেছেন।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, পুত্রবধূকে নির্যাতনের অভিযোগে মরিয়মকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া প্রিয়ার স্বামী ইব্রাহিমকে থানায় ডেকে আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Comment here