সাবেক রাষ্ট্রপতি, সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহবাহী হেলিকপ্টার যোগে বেলা ১১টায় রংপুর সেনানিবাসে অবতরণ করবে। সেখান থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লাশবাহী গাড়িতে করে সোজা জানাজা স্থল রংপুর ঈদগাহ মাঠে নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
তিনি জানান, গাড়িতেই থাকবে মরদেহ, কাচের ঢাকনার ওপর দিয়ে এক নজর দেখার ব্যবস্থা করা হবে। বাদ জোহর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
দাফনের বিষয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত কী জানতে চাইলে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) মেয়র বলেন, আমরা চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি রংপুরে দাফন করার জন্য। শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত স্যারের মরদেহ রংপুর থেকে নিতে দেওয়া হবে না।
রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন বলেন, জানাজা শেষে স্যারের (এরশাদ) মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে পল্লীনিবাসে। সেখানে লিচুতলায় তাকে দাফন করা হবে। এজন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
যদিও এরশাদের মরদেহ সমাহিত করার কথা রয়েছে ঢাকার বনানী সামরিক কবরস্থানে। এজন্য সেখানেও একটি কবর খুঁড়ে রাখা হয়েছে।
এদিকে এরশাদের জানাজা কেন্দ্র করে রংপুর ও আশপাশের জেলাগুলোতে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা।
রংপুরে ব্যাপক লোক সমাগম ও বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
সোমবার রাতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল আলিম মাহমুদ জানান, জাতীয় পার্টির দুর্গ হিসেবে পরিচিত রংপুরে এরশাদের জানাজা উপলক্ষে ব্যাপক লোক সমাগম হবে এটিই স্বাভাবিক।
বিশৃঙ্খলা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে যা করা দরকার তাই করা হবে। তবে জানাজা যাতে সুশৃঙ্খলভাবে শেষ হয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে সবাই চলে যেতে পারে সে জন্য পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
Comment here