রমজানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে হ্যাকারদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির আশঙ্কা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ক্রাইম

রমজানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে হ্যাকারদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির আশঙ্কা

আসন্ন রমজানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে হ্যাকারদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করে  বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

আজ রোববার বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বিবৃতি দিয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান মতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মোবাইল লেনদেন কমেছে। ইতিমধ্যে আরও ২১ লাখ সিম বন্ধ হওয়ার ফলে লেনদেন আরও কমে আসবে। তবুও বর্তমান সময়ে ব্যাংকিং লেনদেনের মধ্যে সবচাইতে বেশি লেনদেন হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। কিন্তু এই বৃহৎখাত মনিটরিং করার কোনো সংস্থাই মাঠ পর্যায়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা আজ পর্যন্ত গড়ে তোলে নাই। আর এর সুফল নিচ্ছে রিটেলার ও হ্যাকাররা। আর গ্রাহকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তার ব্যবস্থা এ খাতে বড় প্রতিষ্ঠান বিকাশ, রকেট বা অন্যান্য ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের না থাকলেও মুনাফার দিক দিয়ে এরা বেশ অগ্রগামী। মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় চলছে নৈরাজ্য। পূর্বেও হ্যাকাররা গ্রাহকদের কাছ থেকে কৌশলে পিন নম্বর জেনে সর্বস্বান্ত করলেও বর্তমানে গ্রাহক সচেতনতা তৈরি হওয়ার ফলে এখন আর পিন নম্বর না চেয়েও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অটোমেশনের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে  আরও বলা হয়, ‘গ্রাহকদের সচেতন করার জন্য কোম্পানিগুলো যত না টাকা বিজ্ঞাপন দিয়ে খরচ করেছে তার চাইতেও কয়েক গুণ বেশি ব্যয় করেছে গ্রাহকরা হ্যাকারদের মাধ্যমে সর্বস্বান্ত হয়ে নিজেরাই সচেতন হয়েছে। সিম বন্ধের অজুহাতে বা অ্যাকাউন্ট বন্ধের অজুহাতে ম্যালওয়্যারযুক্ত অ্যাপস পাঠিয়ে গ্রাহকদের তথ্য জেনে লুটে নিচ্ছে গ্রাকদের কষ্টে উপার্জিত অর্থ। এ থেকে বাদ যাচ্ছে না গণমাধ্যমকর্মী, নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনীর কর্মী শিক্ষিত বা অশিক্ষিত গ্রাহক। আমাদের আশঙ্কা রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে হ্যাকাররা আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। আমরা আশঙ্কা করছি, কারণ বিভিন্ন শপিং মলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মূল্য ছাড়ের অফার থাকায় গ্রাহকরা তাদের অ্যাকাউন্টে আমানতের পরিমাণ বাড়াবে।’

ওই বিবৃতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বেতন ও উৎসব ভাতা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ায় এবং নিরাপদ ও সহজ পদ্ধতি ভেবে গ্রাহকরা এ মাধ্যম ব্যবহার করায় হ্যাকারা তৎপর হয়ে উঠতে পারে। দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি মনিটরিং টিম মাঠে নামানো উচিৎ। সেই সাথে আমাদের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে আরও তৎপরতা বাড়াতে আহ্বান জানাচ্ছি। বিকাশ ও রকেটকে জনসচেতনতার পাশাপাশি গ্রাহকদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি, তা না হলে গ্রাহকদের অর্থ লুটপাটের দায় তাদেরকেই নিতে হবে।’

Comment here