মোঃ আলাউদ্দিন মন্ডল রাজশাহী : প্রাণঘাতি করোনা সংক্রমণ বিস্তার ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা হয়েছে রাজশাহীর আবাসিক হোটেল গুলো। বিধি মেনেই চলছে নগরীর অধিকাংশ আবাসিক হোটেল। ব্যতিক্রম কেবল নগরীর লক্ষ্মীপুর জিপিও এলাকার আবাসিক হোটেল মেঘনা।স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কাতো নেই, উল্টো এখানে কোন ধরণের রাখঢাক ছাড়াই চলছে দেহ ব্যবসা। মাঝেমধ্যে আইন-শৃংখলা বাহিনী অভিযান চালালেও বন্ধ হয়নি অবৈধ এই কারবার। এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন বাসা বাড়িতে চলছে দেহ ব্যবসা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজশাহী নগরীর ভদ্রা আবাসিক এলাকায়, শালবাগান, সাধুর মোড় রানীনগর এক স্বামী পরিত্যক্ত রাবির এক শিক্ষকের স্ত্রী নিজ বাড়িতে রুম ভাড়া দিয়ে র্দীঘদিন যাবত দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ওই নারী। এছাড়াও নগরীর বিলাস বহুল বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলছে দেহ ব্যাবসা। মাঝে মাঝে দুই একটি বাড়িতে পুলিশের অভিযান চালালেও র্দীঘদিন যাবত ধরা ছৌয়ার বাইরে রয়েছে এসব দেহ ব্যবসায়ীরা।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই এই কারবার চালাচ্ছে মালিক পক্ষ। এই হোটেলটি চালাচ্ছেন আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী মাইনুল ইসলাম। দীর্ঘদিন যাবত মাইনুল ইসলাম এ দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলেও ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তার মালিকানায় নগরীতে আরো বেশ কযেকটি আবাসিক হোটেল চলছে। এর মধ্যে সাহেব বাজার মুড়িপট্রিতে হোটেল সোনালি, বানেশ্বর বাজের দুই টি আবাসিক হোটেলের মালিক মাইনুল ইসলাম। প্রতিটিতেই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
অভিযোগ রয়েছে, এই হোটেল ব্যবসায়ী পেশাদার যৌনকর্মীদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন বিশাল এক নেটওয়ার্ক। এই যৌনকর্মীদের অনেকেই জিম্মি হয়ে রয়েছেন তার কাছে। অনৈতিক এই কাজ থেকে বেরিয়ে যাবার চেষ্টা করেও পারেননি অনেকেই। আবাসিক হোটেলের বাইরেও নগরীর বিভিন্ন এলাকা বাসা ভাড়া নিয়েও দেহব্যবসা চালাচ্ছেন মাইনুল। আর এই কাজ নির্বিঘ্ন করতে গড়ে তুলেছেন আলাদা বাহিনী। না বুঝে হোটেলে কিংবা এদের বাসায় উঠলেই জিম্মি করে আদায় করেন অর্থ। তবে মানসম্মানের ভয়ে ঘটনার শিকার কেউই অভিযোগ দেননি থানায়।হোটেল মেঘনার প্রধান টার্গেট রাজশাহীতে অবস্থানকারী উঠতি তরুণরা। বিভিন্ন সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থেকেই হোটেলের দালালরা আহবান করতে থাকেন তরুণদের।
অনেকেই এমন আহবানে বিব্রত হন। নাম মাত্র ভাড়ায় হোটেলটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রেমিক যুগলকে একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ দেয়। প্রেমিকের সাথে এই হোটেলে এসে কেউ কেউ জিম্মি হয়ে পড়েন। একসময় এরাই যুক্ত হন হোটেল মালিকের সেক্স র্যাকেটে।স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকাশ্যে এমন কর্মকাণ্ডে এলাকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে যে কোন সময়। ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনাও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে অবৈধ এই কারবার বন্ধে এখনই উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।যোগাযোগ করা হলে নগর পুলিশের তরফ থেকে অবৈধ এই কারবার বন্ধে অচিরেই অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস। একই সাথে পুলিশে বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
Attachments area
Comment here