রাজাকারদের তালিকা প্রকাশে এত দেরি কেন : ড. কামাল - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজনীতি

রাজাকারদের তালিকা প্রকাশে এত দেরি কেন : ড. কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : একাত্তরে আমরা যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছি, তা গড়তে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। সরকারকে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘রাজাকারদের তালিকা প্রকাশে এত দেরি হলো কেন?’

আজ সোমবার সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের শ্রদ্ধায় পুষ্পস্তবক অর্পণের পর এসব কথা বলেন গণফোরাম সভাপতি।

রাজাকারদের তালিকার বিষয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘যারা এই জঘন্য অপরাধ করেছেন, তাদের দোষী চিহ্নিত করে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমার কথা হচ্ছে, এত দেরি হলো কেন? ৫০ বছর পরে কেন? এ সরকার তো ১০ বছর ধরে আছে। এতদিন কী হলো? মানে এ ১০ বছরে কেন এটা সম্ভব হলো না? আরও ৫০ বছর লাগবে না-কি এগুলো করতে?’

গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘একাত্তরে সারা পৃথিবী বলেছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারবে না। কিন্তু আমরা সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলাম। এখন যেটা হচ্ছে, আমাদের অনেক রকম সমস্যা আছে। এগুলো মোকাবিলা করার জন্য সুষ্ঠু রাজনীতির প্রয়োজন আছে। একাত্তরে আমরা যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছি, তা গড়তে জাতীয় ঐক্য, জনগণের ঐক্যের প্রয়োজন আছে।’

‘আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো স্বাধীনতা। জনগণের ঐক্যের শক্তিতে যেটা অর্জন করলাম। স্বাধীনতা অর্জনের পরে আমাদের কী কী লক্ষ্য, আমরা কী ধরনের সমাজ চাই, সমাজ পরিবর্তন চাই, ব্যবধান আছে ধনী এবং গরীবের মধ্যে, তা থেকে যদি আমরা মুক্ত করতে চাই সমাজকে, তাহলে সবাইকে এক হতে হবে। সমান সুযোগ সবাইকে নিশ্চিত করা উচিত, আত্মবিকাশের জন্য বঙ্গবন্ধু স্বাক্ষরিত সংবিধানেই এই চিত্রটি তুলে ধরা আছে। ’

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পূর্বশর্ত হলো ঐক্য, জনগণের ঐক্য। আর সুস্থ রাজনীতি…বিভক্তির রাজনীতি যদি হয়, তখন কিন্তু মানুষের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়। আমরা একে অন্যের পেছনে লেগে থাকি। কিন্তু মূল যে চ্যালেঞ্জগুলো আমরা সেগুলো মোকাবিলা করি না।’

রাজনীতিকে অসুস্থ রাজনীতিতে পরিণত করা হয়েছে জানিয়ে গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘দেশের রাজনীতিতে কালোটাকার অভিশাপ ঢোকানো হয়েছে। এই কালোটাকা সুস্থ রাজনীতিকে অসুস্থ রাজনীতিতে পরিণত করেছে। টাকা দিয়ে আমরা ভোট কিনছি। ভোটবাক্স ভর্তি করছি।’

গতকাল রোববার রাজাকারদের আংশিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১০ হাজার ৭৮৯ জনের তালিকা প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

Comment here