নিজস্ব প্রতিবেদক : রিজেন্ট হাসপাতালের অনুমোদনের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অবিলম্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মগাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার দুপুরে উত্তরার ভাড়া বাসা থেকে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্যসেবার কল সেন্টার ০৯৬৭৮১০২১০২ নম্বরে ফোন করে এই কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘কোভিড-১৯ রোগীদের স্বাস্থ্যসেবায় হটলাইন কল সেন্টার উদ্বোধন উপলক্ষে এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকের পত্রিকাতে আছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মধ্যে এখন আপনার যুদ্ধ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, আমি তো রিজেন্ট হাসপাতালকে অনুমোদন দিতাম না, আমাকে যদি মন্ত্রণালয় থেকে না বলা হতো। অর্থাৎ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, রিজেন্ট হাসপাতালকে অনুমতি দাও তারা পরীক্ষা করবে। তাহলে কে রেসপনসেবল? স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উচিত দ্রুত পদত্যাগ করে কেন এটা করেছেন তারও ব্যাখ্যা দেওয়া।’
গণমাধ্যমের ভূমিকার জন্য সাংবাদিকদের প্রশংসা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের যারা কর্মী ও সাংবাদিক আছেন তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই যে, এই চরম বৈরিতার মধ্যেও যখন কোনো সংবাদ প্রকাশ করা বিপজ্জনক তখন তারা অনেকটা প্রকাশ করছেন যেগুলো জনগণ জানতে পারছে এই সরকারের আমলে, আওয়ামী লীগ আমলে কিভাবে দুর্নীতি ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর হচ্ছে।’
করোনা মোকাবিলায় বিএনপির দেয়া দীর্ঘ-মধ্য-স্বল্প মেয়াদী প্রণোদনা প্রস্তাবনায় সরকার সাড়া না দেওয়ার কঠোর সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘ফলে আমরা কী দেখেছি? প্রথম দিকে মানুষ এমনভাবে যারা দিন আনে দিন খায় তারা কষ্ট করছে, এখন তো কষ্ট আরও বেড়ে গেছে। একদিকে সব খুলে দেওয়ার পরে সংক্রমণ বেড়েছে, মানুষের অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
এ সময় সরকারের দমন নীতির কঠোর সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করা মানুষগুলো গুমের, মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তারের শিকাড় হচ্ছে। পলি নামে একজন কিশোরী মেয়ে তার ফেসবুকে স্বাধীন মত প্রকাশ করার কারণে রাতের বেলা তাকে গ্রেপ্তার করে এখনো আটকিয়ে রেখেছেন। ছাত্রদলের সাবেক নেতা টিটো হায়দার ৪/৫ দিন হলো গায়েব। নোয়াখালীর নেতৃবৃন্দ বার বার বলছেন, সেখানে র্যাব, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করছেন। কখনো তারা আকার ইঙ্গিতে বলে আছে, আবার কখনো বলে আমরা কিছুই জানি না। এসবের অর্থ হচ্ছে ভয় পাইয়ে দেওয়া। কেউ আর করোনা নিয়ে কথা বলো না। সরকারের কোনো অনাচার নিয়ে কথা বলতে পারবে না। মানুষকে ভয় পাইয়ে দেওয়ার জন্য এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।’
Comment here