আদালত প্রতিবেদক : ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে ফের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় চার দিন এবং ঢাকা মহানগর হাকিম কনক বড়ুয়া মাদক আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গুলশান থানার অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর আদালত পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই রিমান্ড শেষে এদিন তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়।
অন্যদিকে আজ গুলশান থানার মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় সিআইডি ১০ দিনের এবং মতিঝিল থানার মাদক আইনের মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড আবেবদন করে মতিঝিল থানা পুলিশ।
শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি আজাদ রহমান রিমান্ড মঞ্জুর ও জামিন আবেদনের বিরোধীতা করে শুনানি করেন।
অন্যদিকে খালেদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মাহামুদুল হক (মাহমুদ), সৈয়দ শাহ আলম, সুব্রত দাসসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদনে বলেন, আসামি কোটি কোটি টাকার সরকারি কাজ করছেন। লাখ লাখ টাকা তার কাছে থাকতেই পারে। তাছাড়া প্রতি বছর সরকারকে লাখ লাখ টাকা ট্যাক্স দিচ্ছেন। তাকে ১৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এতদিন রিমান্ডে নিয়ে কোনো তথ্য উদ্ধার হয়নি। শুধু পত্র-পত্রিকায় আসলেই মামলা বড় হয়ে যায় না। তাকে যে মাদক মামলায় রিমান্ড চেয়েছে, এটা কোনো মামলায় না। কয়েক দিন আগে পরিবার নিয়ে তিনি হজ করে এসেছেন। হজের পর ৪০ দিন না যাওয়ার আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।
মাদক মামলায় রিমান্ড আবেদনের শুনানিকালে কনক বড়ুয়া একপর্যায়ে আইনজীবীদের বলেন, ‘আগে আসামির কাছ থেকে কিছু প্রশ্নের উত্তর শুনি। এরপর খালেদ ভূঁইয়াকে বিচারক বলেন, “আপনি নির্ভয়ে বলুন তো, আপনাকে যে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে সেখানে কি আপনাকে কোনো প্রকার টর্চার (নির্যাতন) করা হয়েছে।” তখন খালেদ বলেন, “আমাকে চর্টার করা হয়নি। আমি এমনিতেই অসুস্থ।” তখন বিচারক বলেন, “কী সমস্যা আপনার?” জবাবে খালেদ বলেন, “আমি ডায়াবেটিকস, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত”।’
তখন বিচারক ওষুধ খাচ্ছেন কি না, প্রশ্ন করলে খালেদ ওষুধ খাচ্ছেন বলে বিচারককে জানান।
উভয়পক্ষে শুনানি শেষে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় চার দিন এবং মাদক আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর এ আসামির অস্ত্র আইনের মামলায় চার দিন এবং মাদক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে গুলশানের বাসা থেকে খালেদ মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে গুলশান ও মতিঝিল থানায় খালেদের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা করা হয়। গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক তিনটি মামলা এবং মতিঝিল থানায় মাদক আইনের আরেকটি মামলা করা হয়।
Comment here