রুম্পা ‘হত্যা’ সৈকত মুখ খোলেননি, পুলিশ অন্ধকারে - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
শিক্ষাঙ্গন

রুম্পা ‘হত্যা’ সৈকত মুখ খোলেননি, পুলিশ অন্ধকারে

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যু রহস্য কাটেনি। তিনি আত্মহত্যা করেছেন না হত্যা করা হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট হতে পারেনি পুলিশ। রুম্পাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে আছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা। প্রথম

দিন রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খোলেননি রুম্পার প্রেমিক আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের বিবিএর ছাত্র আবদুর রহমান সৈকতও। রুম্পার মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পিবিআই, ডিবি ও সিআইডি আলাদাভাবে তদন্ত চালাচ্ছে।

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর ১১তলা আয়েশা কমপ্লেক্সের ছাদে যে দুটি স্যান্ডেলের ছাপ পাওয়া গেছে, ধারণা করা হচ্ছে গত বুধবার রাতে রুম্পার লাশের পাশ থেকে উদ্ধার স্যান্ডেলেরই ছাপ ছিল ওগুলো। ওই ভবনেই রুম্পার প্রেমিক সৈকতের একটি মেস রয়েছে। বন্ধুদের নিয়ে সৈকতও সেখানে থাকতেন। রুম্পার লাশ উদ্ধারের পর থেকে মেসটি তালাবদ্ধ। বিষয়টি নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। ভবনটি আগে থেকেই রুম্পার পরিচিত ছিল। ঘটনার রাতেও তিনি ওই ভবনে প্রবেশ করেছিলেন। তবে ছাদে তার সঙ্গে আর কে কে ছিল তা এখনো স্পষ্ট হতে পারেননি তদন্তসংশ্লিষ্টরা। তারা ধারণা করছেন, এই ভবনের ছাদ থেকেই পড়ে মৃত্যু হয়েছে রুম্পার।

রুম্পা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির রমনার জোনাল টিমের পরিদর্শক শাহ মো. আকতারুজ্জামান ইলিয়াস জানান, রিমান্ডে সৈকতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উল্লেখ করার মতো এখনো তেমন কোনো তথ্য মেলেনি।

ঘটনার দিন বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রুম্পার সঙ্গে কথা হয় স্টামফোর্ডের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদের। তার সঙ্গে বিভাগের পিকনিক ও ব্যাডমিন্টন টুর্নামেনট নিয়ে কথা হয় রুম্পার। রাশেদ বলেন, পুরো সময়ই খুব স্বাভাবিক ছিলেন রুম্পা। কোনো রকম মানসিক চাপ বা অস্থিরতা দেখিনি। যাওয়ার সময় বলেছিলেন, ‘টিউশনি আছে ভাই, আমি চলে যাই।

রুম্পার সঙ্গে পাঁচ মাস ধরে চলা সম্পর্কের ইতি টানতে চাইছিলেন সৈকত। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। তদন্তসংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, এই বিরোধের জেরে আয়েশা কমপ্লেক্সে ডেকে নিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হতে পারে রুম্পাকে। গত শনিবার সৈকতকে রাজধানীর খিলগাঁও থেকে আটক করা হয়। তাকে চার দিনের রিমান্ড নিয়েছে ডিবি।

Comment here