পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ঘিরে রমনাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হয়েছে। একইসঙ্গে পুরো উৎসব ও নানা আয়োজন নির্বিঘ্নে পালন করতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে র্যাব।
পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, ধানমন্ডিসহ সারা দেশের সব উৎসবস্থলেই থাকবে র্যাবের বাড়তি নজরদারি।
আজ শুক্রবার রমনা বটমূলে র্যাবের নিরাপত্তা প্রস্তুতি পর্যবেক্ষন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান র্যাবের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কর্নেল মো. জাহাঙ্গীর আলম।
র্যাবের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘রাজধানীতে রমনা বটমূল, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নবরর্ষের বড় অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য স্থানে অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এসব অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সম্ভাব্য নাশকতার ঠেকানোর জন্য র্যাবের পক্ষ থেকে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সে কারণে আমরা ইতিমধ্যেই তথ্য সংগ্রহ করেছি।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে। যা বৈশাখের অনুষ্ঠান শেষ হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে। বর্ষবরণ উপলক্ষে আজ থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় র্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।’
র্যাবের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘নববর্ষের বড় বড় ভেন্যুতে আমাদের মোবাইল পেট্রোল, মোটর সাইকেল পেট্রোল, অবসারভেশন পোস্ট থাকবে। রাজধানীতে যত ভেন্যু আছে সবগুলোকে সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হবে। রমনা বটমূলসহ গুরুত্বপূর্ণ সব ভেন্যুতে ডগ স্কোয়ার্ডসহ বোম ডিসপোজাল ইউনিট সুইপিং করবে। সার্বিক দিক দিয়ে রাজধানীতে যত ভেন্যু রয়েছে সেগুলো নিরাপদ রাখার জন্য শতভাগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। এছাড়াও বড় ভেন্যুগুলোর সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য আমরা কন্ট্রোলরুম স্থাপন করেছি। বড় ভেন্যুতে মোবাইল কোর্টসহ মেডিকের টিম থাকবে যাতে মানুষ নিবিঘ্নে নববর্ষ উদযাপন করতে পারে।’
সারা দেশের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রাজধানীর বাইরে দেশের অন্যান্য জায়গায় নববর্ষের বিশেষ প্রোগ্রাম হচ্ছে সেখানে র্যাবের ব্যাটেলিয়ান ও ক্যাম্পের পক্ষ থেকে সাদা পোশাকে ও পোশাকে পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদানে উপস্থিত থাকবে।’
পহেলা বৈশাখ ঘিরে কোনো ধরনের হুমকি আছে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনো হুমকির খবর আমাদের কাছে নেই।’
র্যাব জানায়, রাজধানীতে র্যাবের পাঁচটি ব্যাটেলিয়ানের অধিকাংশ কর্মকর্তারাই নববর্ষের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।
আর পহেলা বৈশাখ উদযাপনের কেন্দ্রস্থল রমনা বটমূলসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে র্যাব-৩। নববর্ষ নিবিঘ্নে উদযাপনে রমনায় স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স এবং ইভটিজিং রোধে মোবাইল কোর্ট থাকছে। এছাড়াও টহল, ফুট পেট্রোল, ওযাচ টাওয়ার, মোটর সাইকেল পেট্রোলের ব্যবস্থা থাকছে র্যাবের।
র্যাবের সুত্রে আরও জানা যায়, নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি রমনা বটমূলের পাশে বয়স্ক, নারী ও শিশুদের বিশ্রামের জন্য বৈশাখী লাউঞ্জ তৈরি করেছে র্যাব-৩। যেখানে বয়স্কদের পাশাপাশি নারী ও শিশুরা বিশ্রাম নিতে পারবে।
Comment here