শহীদ মিনারের মতো পবিত্র স্থানকেও দলবাজির কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মতো পবিত্র স্থানকেও দলবাজির কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদের শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনে বিশৃঙ্খলা-সমন্বয়হীনতার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আজ মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘রাষ্ট্র যেমন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত ঠিক তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়েও সরকার তাদের লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে। তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন দুরের কথা, তাদের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলতে গেলে রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী ও জনগণের ওপর তারা পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের মতো বর্বরোচিত কায়দায় ঝাঁপিয়ে পড়ে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মহান ভাষা দিবসেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মতো পবিত্র স্থানকেও দলবাজির কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে। আমরা আজকে সংঘটিত ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

ভাষা শহীদদের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা নিবদনের কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এ বছর উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচির সময়সূচি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে অনুরোধ করিয়ে পেছানো হলেও আওয়ামী লীগ রহস্যজনক কারণে তাদের প্রভাতফেরীর সময় ও রুট পরিবর্তন করে বিএনপির পূর্বঘোষিত প্রভাতফেরীকে প্রলম্বিত করে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চালায়।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্লিপ্ততার কারণে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন সংগঠনকে প্রভাতফেরীর লাইনে না দাঁড়িয়ে তাদেরকে বিএনপিসহ অন্যান্য দল ও সংগঠনের আগে যেতে দেওয়া হয় এবং যার ফলশ্রুতিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনে বিএনপিসহ অন্যান্য সংগঠনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৭টায় নিউ মার্কেটস্থ বলাকা সিনেমা হলের সামনে থেকে প্রভাতফেরী শুরুর ৫-৬ ঘণ্টা পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছাতে ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করতে হয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশ্বববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও এ বিষয়ে তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।’

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলসহ (জেএসডি) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের নাজেহাল হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনকালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টোরিয়াল টিম কর্তৃক ন্যাক্কারজনক হামলার শিকার হতে হয় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনসহ অন্যান্য নেতাদেরকে।’