নিজস্ব প্রতিবেদক : যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফকে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তলব করা হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিমের ছোট ভাই।
আজ রোববার দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে শেখ মারুফকে আগামী ৭ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। সংস্থাটির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
শেখ মারুফকে পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, ‘সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বর্ণিত অভিযোগের বিষয়ে আপনার বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।’
সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযানের প্রথম থেকে দুদক অবৈধ সম্পদের যে অনুসন্ধান শুরু করেছে সে তালিকায় শেখ মারুফের নাম রয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে প্রথম দিনই রাজধানীর ইয়াংমেনস ফকিরাপুল ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার হন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক (পরে বহিষ্কার করা হয়) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন অভিযানে একে একে গ্রেপ্তার হন কথিত যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ অনেকেই। গ্রেপ্তার হওয়া এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিপুল অর্থের মালিক হওয়া, অর্থ পাচারসহ নানা অভিযোগ ওঠে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের অপকর্মে সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সাংসদ, রাজনীতিক, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্নজনের নাম উঠে আসে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তের পাশাপাশি তাদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে নামে দুদক। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো-কাণ্ডে জড়িতদের সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। প্রথমে সংস্থার পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। পরে আরও দুজনকে দলে যুক্ত করা হয়।
অনুসন্ধান দলের সদস্যরা গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন ব্যক্তির নাম যাচাই-বাছাই করে একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেন। সংস্থার গোয়েন্দা শাখার পক্ষ থেকে এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়। পাশাপাশি র্যাব ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধানেরা দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেন। সেসব তথ্য ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ইতিমধ্যে উনিশটি মামলা করে দুদক।
Comment here