মাহের আহমেদ বগুড়ার প্রতিনিধি:বগুড়ার শেরপুর উপজেলার দশমাইল আল কোরআন একাডেমীর একছাত্রকে মাদরাসার শিক্ষক মারপিট করে গুম করার অভিযোগ করেছেন ওই শিশু শিক্ষার্থীর পিতা মাতা।
শেরপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত প্রায় এক বছর আগে শেরপুর উপজেলার কুসুন্বি ইউনিয়নের বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের জনৈক মজনু প্রামানিকের পুত্র ফরহাদ হোসেন কে (১৪) কোরআনের হাফেজ শিক্ষার জন্য দশমাইল আল কোরআন একাডেমীতে ভর্তি করা হয়।
এরপর সেখানে আবাসিক ছাত্রদের সাথে পড়াশুনা করার জন্য নিয়মিত দেখভাল সহ সকল দায়দায়িত্ব দেয়া হয় মাদরাসার পরিচালক মো.আব্দুর রাজ্জাক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি গাড়ী চালক মো. আব্দুল খালেককে। মাদরাসার হেফজো শাখার শিক্ষক মো. রজিব উদ্দিন গত পহেলা নভেন্বর শুক্রবার সকাল ১০টায় খাবারের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার না করার কারণে ওই ছাত্রকে বেদম মারপিট করে। এরপর সে সংগা হারিয়ে ফেলে।
এমন তথ্য জানায় মাদরাসার অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। মাদরাসার শিক্ষক রজিব উদ্দিন জানায়, মাদারাসার ছাত্রদের দিয়ে প্রতিদিন রুটিন মাফিক ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করানো হয়। ফরহাদ ময়লা পরিস্কার না করার কারণে তাকে বেত দিয়ে তিনটি মার দেয়া হয়। এরপর ফরহাদ কাউকে না জানিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে গত ৪ দিন যাবত নিখোঁজ ওই শিশুর কোন সন্ধান না পাওয়ায় মজনু মিয়া ৪ নভেন্বর সোমবার বিকেলে শেরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। এ ব্যাপারে ওই মাদরাসার পরিচালক এর সেল ফোনে বার বার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হামায়ুন কবীর জানান, নিখোঁজ শিশুটির বাবা মজনু মিয়া সোমবার বিকেলে ছেলে হারানোর ব্যাপারে শেরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
Comment here