নিজের বাড়ি বেড়াতে নিয়ে এসে শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া দুলাভাই নাঈম ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে ছেলের এই অপকর্মে লজ্জায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তার বাবা বসু মিয়া।
গতকাল শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের গোসাইপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গলায় ফাঁস দেন তিনি। এর আগে ভোরে নাঈমকে সদর উপজেলার অষ্টগ্রাম এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, নাঈম তার শ্যালিকা তামান্না আক্তারকে (১৫) নিজের বাড়ি বেড়াতে নিয়ে আসেন। দুদিন সেখানে থাকার পর তামান্না বাড়ি ফিরতে চাইলে তাকে জোর করে রেখে দেন নাঈম। গতকাল দুপুরে সদর উপজেলার নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামের বোনের শ্বশুরবাড়ি থেকে তামান্নার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
তামান্না একই গ্রামের নোয়াব মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ঘটনার পর নাঈম পালিয়ে গিয়েছিলেন।
তামান্নার বড়বোন স্মৃতি আক্তার জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার স্বামী নাঈম আমের জুস নিয়ে তার মেয়ে জান্নাতকে খাওয়ান। জুস খেয়ে সে ঘুমিয়ে পড়ে। এর পর তামান্নাকেও জুস খেতে বলে। কিন্তু সে জুস না খাওয়ায় স্মৃতি সেই জুস খান। এর পর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে ওঠে গিয়ে দেখেন তামান্নার শরীর রক্তাক্ত। খবর পেয়ে গ্রামের এক সর্দার বাড়িতে এলে নাঈম পালিয়ে যান। নাঈম ধর্ষণের পর তামান্নাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে অভিযোগ স্মৃতির।
নাঈমকে আটকের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর ও বিজয়নগর সার্কেলের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার রেজাউল কবির জানান, নিহত তামান্নার মায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। মামলার তদন্তের কার্যক্রম চলছে। নিহতের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাঈমের বাবার আত্মহত্যার ঘটনায় নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু আহমেদ জানান, নাঈমের বিরুদ্ধে শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার পর তাদের বাড়ির সবাই পালিয়ে গিয়েছিলেন। আজ সকালে তার বাবা বাসু মিয়া তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে গলায় ফাঁস দেন। স্থানীয় লোকজন খবর দেওয়ার পর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Comment here