প্রাথমিকে নিয়োগ ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি হচ্ছিল ২০ হাজার টাকায় - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রংপুরসমগ্র বাংলা

প্রাথমিকে নিয়োগ ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি হচ্ছিল ২০ হাজার টাকায়

সারাদেশে গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধা ও রংপুরে ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে তা বিক্রির চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় গাইবান্ধা থেকে প্রতারকচক্রের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ ছাড়া রংপুরে জরিমানা করা হয়েছে সাবেক সেনাসদস্যসহ ৯ জনকে। গতকাল শনিবার এ নিয়ে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া প্রশ্নপত্র বিলি করার গোপন সংবাদ ছিল পুলিশের কাছে।

এর ভিত্তিতে জেলা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়ার নির্দেশে পরীক্ষা চলাকালে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সদর থানার ধানঘড়া এলাকার আমার বাংলা বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ের পেছনে নিজ বাসা থেকে প্রতারক রফিকুল ইসলাম প্রিন্স, তার সহযোগী ফজলুল হক ও ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে, ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে তারা পরীক্ষার্থীদের কাছে ভুয়া প্রশ্নপত্রের ফটোকপি বিক্রি করত।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ১৮টি ভুয়া প্রশ্নপত্রের ফটোকপি ও পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র পাওয়া যায়। এ সময় তাদের মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়। একই দিন পলাশবাড়ী উপজেলার নুনিয়াগাড়ি প্রফেসরপাড়ায় অভিযান চালায় পুলিশ।

সেখানে একটি বাসায় প্রতারক তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা পরীক্ষার্থীদের কাছে ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি করছিল। এ সময় আঞ্জুমান আরাকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাজুল ইসলাম কৌশলে পালিয়ে যায়। এসব ঘটনায় গাইবান্ধা সদর ও পলাশবাড়ী থানায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। অন্যদিকে নিয়োগ পরীক্ষা চালাকালে ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রির চেষ্টার সময় সাবেক সেনাসদস্যসহ ৯ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মান্নান তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করে ছেড়ে দেন। এর আগে সকালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে কোতোয়ালি থানার পুলিশ নগরীর মেডিক্যাল মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, সিদ্দিকুর রহমান নামে সাবেক এক সেনাসদস্য ও বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন, সাদিকুল ইসলাম, আরাফাত হোসেন রিয়াদ, সিহাবা তাসমিন, দিলিপ রায়, খোরশেদ হোসেন, জাহাঙ্গির আলম ও শেখ ফরিদ ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষার্থীদের কাছে বিক্রির চেষ্টা করছিলেন।

খবর পেয়ে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে তাদের আটক করে। পরে রাতে তাদের সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঠানো হয়।

Comment here