শ্রীপুরে ফটবল টুনামেন্টে মারামারি, ন্যেপথ্যঃ প্রধান শিক্ষকের লোভনীয় অফার - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ঢাকাসমগ্র বাংলা

শ্রীপুরে ফটবল টুনামেন্টে মারামারি, ন্যেপথ্যঃ প্রধান শিক্ষকের লোভনীয় অফার

মোঃ হুমায়ূন কবির, স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের শ্রীপুরে বিভিন্ন অভিযোগে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এসময় আন্ত:স্কুল ফুটবল টুনান্টের ফাইনাল খেলায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানানো হয়। শনিবার সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে ক্লাস বর্জন করে।

পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিশু পল্লীপ্লাস সড়ক ঘুরে আবার বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুরে বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্যদের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আগামীকাল সকালে আবার ক্লাস বর্জন করবে এই ঘোষনা দিয়ে চলে যা। প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিন চলে যাওয়ার পর মোঠোফোনে একাদিক বার ফোন দেয়ার পরেও ফোন রিসিভ না করে প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিনের মোঠোফোন বন্দ করে দেয়। এছাড়াও প্রধান শিক্ষককের দুর্নীতির সহযোগিতা করায় বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিশদের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম মোড়লকেও পদত্যাগের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানায়, আন্ত:স্কুল ফুটবল টুনামেন্টে টেপিরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাদেও ওপর হামলার বিচার না করে উল্টো নিজের স্বার্থের জন্য আমাদের বহিস্কারের হুমকি দিয়ে চোপ করাতে বাধ্য করে। বিদ্যালয়ে প্রায় ৭৮২ জন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খেলাধুলা বাবদ ৬০০ করে টাকা আদায় করেছে। আদায়কৃত টাকার পরিমাণ প্রায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার।

সম্পূর্ণ টাকা প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি আত্মসাতের পায়তারা করছে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক মাসে ১০ দিনের মত উপস্থিত হন। বাকি সময় তিনি বিদ্যালয়ে আসেন না, এই সুযোগে শিক্ষকরা ঠিকমত ক্লাস করাচ্ছেন না। হামলায় আহত খেলোয়ার প্রিয় দৈনিক মুক্ত আওয়াজকে জানায়। গত শুক্রবার সকালে আন্ত:স্কুল ফুটবল টুনামেন্টের ফাইনাল খেলে টেপিরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ও হাজী ছোট কলিম উচ্চ বিদ্যালয়। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই প্রধান শিক্ষক খেলোয়ারদের ঘোষনা দেন প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা যাবে না। মাঠে শুধু দাঁড়িয়ে থাকতে হবে এবং প্রধান শিক্ষক গোলকিপার বাধন কে বলেন, বল ছেড়ে দিতে নয়তো তাকে টি,সি দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দিবেন গোলকিপার বাধন সাইটালিয়ার গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে, টেপিরবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র। খেলোয়ার, প্রিয় দৈনিক মুক্ত আওয়াজকে আরও জানায়।

এভাবে খেলা শেষ করলে প্রতিপক্ষরা জিতে যায়। এসময় আমাদের অপমান করে ছোট কলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় আমিসহ বেশ কয়েজন খেলোয়ার আহত হয়। তবুও কোন শিক্ষক আমাদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসলো না। প্রধান শিক্ষককে পরীক্ষা কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের লোভ দেখিয়ে এমন পুতুল বানিয়ে দিয়েছে হাজী ছোট কলিম উচ্চ বিদ্যালয়। আমাদের ওপর হামলার বিচার চাই ও প্রধান শিক্ষক সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম মোড়ল এর পদত্যাগ চাই। হাজী ছোট কলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল হান্নান সজল দৈনিক মুক্ত আওয়াজকে বলেন। ফুটবল খেলার সময় কোন ধরণের মারামারি হয়নি। এগুলো সব মিথ্যা কথা। টেপিরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিশদের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম মোড়র মিডিয়ার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।

শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.সাইফুল ইসলাম দৈনিক মুক্ত আওয়াজকে বলেন। ঘটনাটি শুনেছি। তবে কেউ এখনো আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবুও বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comment here