মোঃ হুমায়ূন কবির: গাজীপুরের শ্রীপুরে ৬০ ড্রাম (১১১০০ লিটার) পামওয়েল, ৭০০০ স্কয়ারফিট টাইলস ও ১টি কভার্ড ভ্যানসহ তিনজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটক হওয়া হাসান মল্লিক (৩০) ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার বিটসর গ্রামের ফজলুর রহমান মল্লিকের ছেলে। অন্যরা হলেন, চাঁদ আলী (৫৫) যশোর জেলার কোতয়ালী থানার দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত জিন্নত আলীর ছেলে ও রমজান আলী (৫৪) একই জেলার কোতোয়ালি থানার চুরামনকাঠি গ্রামের মৃত ফরমান বিশ্বাসের ছেলে। ১৭ জুন সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ হতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচানা করে এ তিনজনসহ চুরি হওয়া এসব সামগ্রী উদ্ধার করেন শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) শহীদুল ইসলাম মোল্লা বিপিএম। জানা যায়, শ্রীপুর পৌর এলাকার আনসার রোডে অবস্থিত বি-বাড়ীয়া ট্রান্সপোর্ট -এর ম্যানেজার মশিউর রহমান সজিব বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা নং-০২,তাং-০১/০৪/১৯ দায়ের করেন।
মামলার বাদী জানান, গত ১ এপ্রিল এক্স সিরামিক টাইলস কারখানা হতে ৭০০০ স্কয়ারফিট টাইলস নিয়ে খুলনাতে যাওয়ার কথা ছিলো ঢাকা মেট্রো- ট ১৪-৫১৭১ কাভার্ট ভ্যানটি। কিন্তু নির্দিষ্ট স্থানে ওইসব টাইলস না দিয়ে নিজেরাই অনত্র বিক্রি করে দেয়। পরে আমি পুলিশের সহযোগিতা নেই। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) শহীদুল ইসলাম মোল্লা বিপিএম জানান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম স্যারের দিক নির্দেশনায় ওই মামলার সুত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপর্যুক্ত মালামালসহ আসামীদের আটক করা হয়। আসামীরা অন্যের নামে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা মোবাইল সীম ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্ম করতো। প্রায় ১০০ শত সীম ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে কৌশলে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তিনি আরো জানান, শ্রীপুর হতে খুলনার একজন গ্রাহককে টাইলস গুলো দেয়ার কথা থাকলেও আটক হওয়া আসামীরা পথিমধ্যে গাড়ীর নাম্বার প্লেট সরিয়ে অন্য নাম্বার ব্যবহার করে টাইলস গুলো অনত্র বিক্রি করে। উদ্ধার হওয়া ৭০০০ স্কয়ারফিট টাইলসের মূল্য ২৮০০০ টাকা। অন্যদিকে ৬০ ড্রামে মোট ১১১৮০ লিটার পামওয়েল রয়েছে যার মূল্য ৭লাখ টাকা।
পরে মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট শরিফুল ইসলাম-এর আদালতে আসামী হাসান মল্লিক ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। আসামী তার স্বীকারোক্তিতে জানায়, এসব ঘটনার সাথে জরিত আরো দুইজন চুয়াডাঙ্গার মনির হোসেন ও ফরিদপুরের গিয়াস মিয়া গত ১৯মে ঢাকার লালবাগে বন্দুক যুদ্ধে মারা গেছে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার হওয়া আসামীদ্বয় আন্তঃজেলা সঙ্গবদ্ধ চোরাই দলের সক্রিয় সদস্য। তারা কভার্ড ভ্যানের মাধ্যমে ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা করে এক স্থানে মালামাল লোড করে নির্দিষ্ট গন্তব্য স্থলে পৌঁছে না দিয়ে বহনকৃত মালামাল চুরি করে অন্যত্র নিয়ে বিক্রয় করে থাকে।
মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। গাজীপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুকৌশলে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করেছে। এতে প্রমানিত যে,অপরাধ করে আইনের চোখ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি ।
Comment here