সাংবাদিকদের পেটে লাথি মেরে কোনো মন্ত্রী টেকেনি - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ঢাকাসমগ্র বাংলা

সাংবাদিকদের পেটে লাথি মেরে কোনো মন্ত্রী টেকেনি

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে উদ্দেশ করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল বলেছেন, আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আপনার আগেও অনেক তথ্যমন্ত্রী ও ভারী মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু সাংবাদিকদের পেটে লাথি মেরে কোনো মন্ত্রী টিকতে পারেনি।

গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসকাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) আয়োজিত ‘গণমাধ্যমে ছাঁটাই বন্ধ, নবম ওয়েজ বোর্ডের গেজেট প্রকাশ ও ঈদের আগে বেতন-বোনাস প্রদান’ শীর্ষক এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

মোল্লা জালাল বলেন, গত মঙ্গলবার ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ একটি ইন্টারভিউ দিয়েছেন। সেখানে গণমাধ্যমকে কীভাবে এবং কোন আইনে চলতে হবে, সাংবাদিকের বেতনভাতা কীভাবে দিতে হবে, কর্মীকে ছাঁটাই করতে হলে কীভাবে করতে হবে, তার পাওনা কীভাবে পরিশোধ করতে হবে সেসব বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন। বিষয়গুলো আমি মন দিয়ে পড়েছি। বিশ্বাস করতে চাই, হাসান মাহমুদ মালিককে সন্তুষ্ট করতে নয় গণমাধ্যমকর্মীদের সত্যিকারের অধিকারের জায়গা থেকে কথা বলেছেন। এবার আমরা দেখতে চাই ঈদের আগে আগামী ৩০ মের মধ্যে সব সাংবাদিক বেতনভাতা পান কিনা।

৩০ মের মধ্যে সব গণমাধ্যমকর্মীর বেতনভাতা বোনাস দেওয়ার দাবি জানিয়ে এই সাংবাদিক নেতা বলেন, বাড়তি কিছু চাই না। আইন আমার জন্য যা নির্ধারণ করেছে তা কড়ায় গণ্ডায় পেতে চাই। আমার যদি যোগ্যতা না থাকে, আইন নির্ধারণ করে দিয়েছে আমাকে আপনি কীভাবে ছাঁটাই করবেন। যাওয়ার আগে আমার পাওনা কীভাবে পরিশোধ করবেন। যদি না করেন তবে আমরা অসহায়ের মতো যাব না। ৩০ মের মধ্যে সব সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা, টেলিভিশন মিডিয়ায় সবার বেতনভাতা বোনাস দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান বেতনভাতা দিতে বাহানা করে তার জন্য ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাংবাদিক শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ যে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে। আর তার সমুদয় দায় সরকার ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে বহন করতে হবে। আমরা কোনো বেআইনি পথে যাব না, আইনি অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। যদি ৩০ মের মধ্যে সব গণমাধ্যম বেতনভাতা পরিশোধ না করে তবে ওইদিন পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।

Comment here