সোহরাব হোসেন বাবু সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা জেলা সদরের আলিপুর ইউনিয়নের দিঘির পাড় নামক স্থানে শনিবারে জেলার বাইরে থেকে আসা সন্দেহজনক কোরোনা আক্রান্ত এক রোগীকে একজন গ্রাম পুলিশ সদর হাসপাতালে ভ্যানযোগে নিয়ে আসে। যথাযথ নিয়ম মেনে তার শারীরিক পরীক্ষা করে তার শারীরে উচ্চ তাপমাত্রার উপস্থিতি, ডিজওরিয়েন্টশন ও উচ্চ ঝুঁকির এলাকায় সম্ভাব্য ভ্রমনের সন্দিহান থাকায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড-১৯ আইসোলেটেড ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।
উক্ত ব্যাক্তিকে আনায়নকারী গ্রাম পুলিশ ও ভ্যানচালককে জীবাণুমুক্ত করা হয় ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (PPE) প্রদান করা হয়। পরে জীবানুনাশক স্প্রে দিয়ে জরুরী বিভাগকে জীবাণুমুক্ত করা হয়। উক্ত সন্দেহ জনক কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে আসা গ্রাম পুলিশ, ভ্যানচালক এবং একজন এম্বুলেন্স চালককে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইন এ পাঠানো হয়। রোগীর শারীরিক পরীক্ষার সময় চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিকস যথাযথ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (PPE) পরিধান করেন।
তবে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় N95 মাস্কের অপ্রতুলতা থাকায় তা ঐ মুহুর্তে সরবরাহ করা যায়নি। তবে এর বিকল্প হিসাবে KN95 বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয় এবং অধিক সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্য সেবাদানকারীরা ফেসশীল্ড ব্যবহার করেন।
কেউ যদি উপরে বর্ণিত সন্দেহজনক কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে এসে থাকেন তাকে স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে যাবার জন্য অনুরোধ জানান হল।
উক্ত সন্দেহ জনক কোভিড-১৯ রোগী কোন কথা না বলায় তার নাম, পরিচয় বা,শারীরিক উপসর্গের ইতিহাস জানা সম্ভব হয়নি। তার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজের PCR ল্যাবে পাঠানোর কার্যক্রম চলছে এবং বর্তমানে সে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড-১৯ আইসোলেটেড ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
এজন্য সবাই সতর্ক হোন। অতি অত্যাবশ্যকীয় কারণ ছাড়া বাড়ীর বাইরে আসলে আপনার সামাজিক অবস্থান বা, পেশা যাই হোক না কেন সংক্রামক ব্যাধি আইন -২০১৮ এর ক্ষমতা বলে জেল জরিমানা অথবা উভয় শাস্তি প্রদান করা হবে।
আসুন আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সংকট মোকাবেলা করি। নিজে সুস্থ থাকি জেলা বাসীদের সুস্থ থাকতে সহায়তা করি।
তথ্যঃ সিভিল সার্জন, সাতক্ষীরা।
Comment here