সখীপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের সখীপুরে সাবেক দুই জামাতাকে দিয়ে নিজের মেয়েকে ‘গণধর্ষণ’ করানোর অভিযোগ উঠেছে অজুফা খাতুন নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। গত সোমবারের এই ঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার মা ও সাবেক দুই স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী। আসামিদের মধ্যে তিনজনকে এই দিন রাতেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার ধর্ষণের শিকার নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে সখীপুর থানা পুলিশ। আসামিদের মধ্যে অজুফা খাতুনসহ গ্রেপ্তারকৃত অপর দুজন হলেন আবদুল কাদের (৫৫), তিনি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং আবদুর রহমান (৩৯), তার বাড়ি উপজেলার কচুয়া গ্রামে। বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজুফা খাতুন নিজের মেয়েকে কবিরাজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে উপজেলার কীর্ত্তণখোলা ধুমখালি বেইলি ব্রিজের কাছে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা হেলমেট পরা দুই যুবকের কাছে কৌশলে মেয়েকে তুলে দেন। যুবকদ্বয় একটি মোটরসাইকেলযোগে তাকে পৌর শহরের একটি পরিত্যক্ত দোকান ঘরে নিয়ে যান।
এজাহারে আরও বলা হয়, দোকান ঘরে ওই নারীর সাবেক স্বামী আবদুল কাদের ও আবদুর রহমান আরও তিনজনকে নিয়ে পালাক্রমে তাকে গণধর্ষণ করে। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় সেখানেই ফেলে রেখে যান তারা। রাত ১টার দিকে ভুক্তভোগী পাশের একটি বাড়িতে গেলে লোকজন তাকে কাপড় পরিয়ে দেয়। পরে নিজের বর্তমান স্বামীকে খবর দিলে তিনি গিয়ে তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির উদয় বলেন, ‘ভুক্তভোগী গৃহবধূর দেওয়া তথ্য ও দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে অজুফা, আবদুল কাদের ও আবদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
Comment here