সাহেদের অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি রাষ্ট্রপক্ষের - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

সাহেদের অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি রাষ্ট্রপক্ষের

আদালত প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস পরীক্ষা জালিয়াতি করা রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ ওরফে মো. সাহেদ করিমের অবৈধ অস্ত্র ও গুলি রাখার অভিযোগের অস্ত্র আইনের মামলায় বিচারকের কাছে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদানের দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের কাছে রাষ্ট্রপক্ষ এ দাবি করে।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এবং অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) তাপস কুমার পাল আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পর এদিন আসামি পক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করলে তা আংশিক হওয়ার পর বিচারক অবশিষ্ট যুক্তি উপস্থাপনের দিন হিসেবে আগামী রোববার ধার্য করেছেন।

তাপস কুমার পাল বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি বলে মনে করি। তাই আমরা আদালতের কাছে অস্ত্র আইনের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রার্থনা করেছি। আগামী রোববার আসামি পক্ষের শুনানির পর রায়ের দিন ধার্য হতে পারে।’

এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর আদালত এ মামলার ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য শেষ করেন। এ মামলায় একই আদালত গত ২৭ আগস্ট এ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন। তার আগে গত ৩০ জুলাই এ মামলায় আসামির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের এ মামলায় সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

করোনা টেস্ট না করে ভুয়া রিপোর্ট এবং ভুয়া নেগেটিভ ও পজিটিভ সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদকে সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে গত ১৫ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১৬ জুলাই তার ওই মামলায় দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে সিএমএম আদালত। রিমান্ডে নিয়ে তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে উত্তরার তার একটি কার্যালয় থেকে অবৈধ অস্ত্র ও এবং জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের চার মামলায় গত ২৬ জুলাই আদালত তার সাত দিন করে ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে গত ১০ আগস্ট পদ্মা ব্যাংকের দুই কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৬ জুলাই র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল রিজেন্ট হাসপাতাল। র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদের প্রমাণ পায়। একদিন পর গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে র‌্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। এরপর সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা দায়ের করে র‌্যাব।

Comment here