সিরাজগঞ্জ কামারখন্দে সরকারী নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে অধিকাংশ জনগন - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

সিরাজগঞ্জ কামারখন্দে সরকারী নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে অধিকাংশ জনগন

সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ; মানুষের সামাজিক দূরত্ব প্রায় তিন ফুট বজায় রাখার নির্দেশনা জারিসহ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন সরকার। সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ দেশের সচেতন নাগরিক ঘরে থাকা ও বিভিন্ন জনসচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণসহ প্রচারণা ও করছেন ।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থাও করছেন। কিন্তু কামারখন্দ উপজেলার বিভিন্ন হাঁট-বাজার, দোকানপাটসহ নানা জায়গায় অকারণেই ভিড় করছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ও সাধারণ মানুষ একসঙ্গে জড়ো হয়ে কেউ কেউ খোশগল্পে মেতেছেন। চলে রাত পর্যন্ত আড্ডাও। আর এদিকে যারা হাঁট বা বাজারে বাজার করছেন তাদের ভিতরেও নেই কোন সচেতনতা। একজন ক্রেতার সঙ্গে আরেকজন ক্রেতার শরীরে স্পর্শ হচ্ছে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রায় তিনফুট সামাজিক দূরত্ব নিয়ে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এদিকে অভিযোগ রয়েছে উপজেলার জামতৈল বাজারসহ গ্রাম অঞ্চলের অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট বন্ধ থাকার নির্দেশ থাকলেও অনেকেই তা মানছেন না।
দোকানের সামনের ঝাঁপ বন্ধ থাকলেও ঝাঁপে দুই-তিনবার টোকা দিলে দোকানদার ওপাশ থেকে বলে উঠছে কি লাগবে?
বাজার করতে আসা শাহবাজপুর গ্রামের মাসুম জানান, করোনাভাইরাসের জন্য ভয় লাগে কারণ সামাজিক দূরত্ব রেখে চলাচল করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তা কেউ মানছেই না তারপরেও ঝুঁকি নিয়ে কাঁচা বাজার করলাম। তিনি আরো বলেন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ তো সচেতনতা করতে ভালোই চেষ্টা করছেন কিন্তু আমরা সাধারণ জনগণ তা না শুনে এলোমেলো ঘুরাফেরা করছি। পরে সে মুচকি হেসে বলেন কে শোনে কার কথা?
নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, আমাদের কিছুই করার নেই। সাধারণ মানুষ যদি না শোনে তাহলে আমরা কি করবো।সরেজমিনে,কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল বাজারসহ স্থানীয় কিছু বাজারে একই চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের গাড়ি দেখে সবাই পালিয়ে যায়। গাড়ি চলে গেলে আগের মতোই চিত্র হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সুজন আলী জানান, এক জায়গায় বাজার না বসিয়ে প্রশাসন সব সময় চলাচল করে এমন জায়গায় প্রতি সবজির দোকান ৫ থেকে ৭ ফিট পড়ে সারিসারি করে বসিয়ে বাজার লাগানো যেতে পারে। অর্থাৎ পাকা রাস্তার এক পাশে কাঁচা বাজার থাকবে অন্য পাশ দিয়ে মানুষ সারিসারিভাবে বাজার নিয়ে হেঁটে চলে যাবে। আর পাকা রাস্তার ধারে এরকম করে বাজার দিলে সব সময় পুলিশ প্রশাসনের ভয়ে কেউ ভিড় করতে সাহস পাবে না আর জনসমাগমও কম হবে বলে মনে করি।
চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আরেক শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়িতে ভ্রাম্যমান বাজার যেতে পারে। এবং তাতে যখন যে বাড়ির সামনে যাবে শুধু তারাই সদাই কিনবে। এভাবে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনা সম্ভব। তাহলে জন সমাগম কমবে এবং ভাইরাসের সংক্রমণ কম রাখা সম্ভব।
কামারখন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস.এম শহিদুল্লাহ সবুজ জানান, প্রতিদিন জনগণকে সচেতন করতে পুলিশ, উপজেলা প্রশাসনসহ গণমাধ্যমকর্মীকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া যারা গরীব তাদেরকে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে।

Comment here