সিলেটে যুবক হত্যা : আন্দোলনকারীদের সাবধান করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সমগ্র বাংলাসিলেট

সিলেটে যুবক হত্যা : আন্দোলনকারীদের সাবধান করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিলেট ব্যুরো : সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে যুবককে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত এখনো অধরা। ঘটনার ১০ দিন পর আজ মঙ্গলবার এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পুলিশের বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষোভের মধ্যে নিহতের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস এবং তাদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিহত রায়হানের বাড়িতে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ একে আবদুল মোমেন। এ সময় নিহতের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন। এ মামলায় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের ওপর মহলের নজরদারি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অপরাধী ছাড় পাবে না। তবে আন্দোলনের নামে কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা না করেন। আমরা কথা দিচ্ছি রায়হান হত্যার সুষ্ঠু বিচার করা হবে। এজন্য কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে আন্দোলনের প্রয়োজন নেই।’

এর আগে গত রোববার এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিহত রায়হানের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে আল্টিমেটাম দিয়ে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের প্রধান হোতা আকবরসহ অন্যদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে হরতালসহ বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।

নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মামলাটি প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারে ঊর্ধ্বতন মহলের নজরদারিতে রয়েছে। কোনো অপরাধীই ছাড় পাবে না। প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া বিদেশে পালিয়ে গেলেও তাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আকবর এখনো দেশের বাইরে যায়নি। কারণ সীমান্তগুলোকে আমরা সাথে সাথে সতর্ক করে দিয়েছি। আর আকবর বিদেশে পালিয়ে গেলেও তাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর আগে সিলেটের রাজন হত্যার আসামিকে সৌদি আরব থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।’

এ সময় সাংবাদিকরা সিলেট মহানগর পুলিশের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন, আকবরকে পালিয়ে যেতে সহায়তা ছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরলে মন্ত্রী দুয়েকজন অপরাধীর জন্য পুরো বাহিনীকে দোষারোপ না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে। এই ঘটনায় জড়িত সদস্যদের বাঁচাতে কোনো ধরনের অপচেষ্টা করেনি পুলিশ। আমাদের পুলিশ খুবই দক্ষ। অনেক বড় বড় অপরাধীদের গ্রেপ্তারেও তারা সক্ষম হয়েছে।’

এসআই আকবর পুলিশের জন্য ‘লজ্জা’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এ রকম দু-একজন কুলাঙ্গারের কারণে পুলিশ বাহিনীও লজ্জিত। পুলিশের কেউ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে না। সুষ্ঠু তদন্ত চলছে। তবে কাদের সাহায্যে আকবর পালিয়ে যেতে পেরেছে তাদেরও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে নিহত রায়হন আহমদের আড়াই মাস বয়সী মেয়ে আলফাকে নগদ দুই লাখ টাকা উপহার দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। ‘মোমেন ফাউন্ডেশন’র পক্ষ থেকে এই নগদ উপহার প্রদান করা হয়।

 

Comment here