সীমান্ত থেকে সরেনি চীনা সেনা, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ভারত - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
আন্তর্জাতিক

সীমান্ত থেকে সরেনি চীনা সেনা, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ভারত

অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাসের মধ্যেও ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। গালওয়ানে সংঘর্ষের পরও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) লঙ্ঘন থেকে বিরত হয়নি চীন। এরই মধ্যে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রুদ্ধধার বৈঠকে বসেছে ভারত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই পরিস্থিতিতে লাদাখের অবস্থা পর্যালোচনার জন্য বৈঠক করেছে কেন্দ্রের ‘চায়না স্টাডি গ্রুপ’ (সিএসজি)। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নেতৃত্বাধীন এই গোষ্ঠীতে রয়েছেন সেনাপ্রধান, স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ক্যাবিনেট সচিব এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইবি) প্রধান।

১৯৯৭ সালে গঠিত সিএসজি’র ঘোষিত সরকারি স্বীকৃতি নেই। কিন্তু চীন সম্পর্কিত নীতি ও কৌশলগত অবস্থান নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গত ২২ জুন কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকে সেনা সংখ্যা কমানো এবং ‘মুখোমুখি’ অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হলেও তা উপেক্ষা করছে দেশটির পিপলস লিবারেশন আর্মি।

শনিবার রাতের বৈঠকে লাদাখের এলএসি জুড়ে চীনা ফৌজের তৎপরতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেন অজিত ডোভালসহ অন্যরা। ভারতীয় কেন্দ্র সরকারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গালওয়ানে ১৫ জুনের সংঘর্ষে নিহত ২০ জন জওয়ানের মধ্যে অন্তত ১৫ জনের মাথায় ভোঁতা অস্ত্রের প্রাণঘাতী আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অর্থাৎ পরিকল্পনা মাফিক খুনের উদ্দেশ্যেই হামলা চালিয়েছিল চীনা সেনা।

প্রাক্তন সেনাপ্রধান তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ভি কে সিংহ অবশ্য এদিন গালওয়ান কাণ্ডের নতুন ‘ব্যাখ্যা’ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘৬ জুন কোর কমান্ডার স্তরের প্রথম বৈঠকে স্থির হয়েছিল দুই পক্ষই এলএসি বরাবর ‘চোখে-চোখ’ অবস্থান থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসবে। ছাউনিও সরিয়ে নেবে। কিন্তু কর্নেল সন্তোষের নেতৃত্বে বিহার রেজিমেন্টের জওয়ানেরা ১৫ জুন রাতে গিয়ে দেখতে পান চীনা ছাউনিগুলি তখনো পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-এর কাছে রয়েছে। সেখানে আছে কিছু চীনা সেনাও। সন্তোষের নির্দেশে ভারতীয় জওয়ানেরা ছাউনিগুলো সরানোর চেষ্টা করেন। সে সময় হঠাৎ একটি ছাউনিতে আগুন ধরে যায়। এর পরেই সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়।’

সেই সংঘর্ষস্থলের অদূরে গালওয়ান নদীর তীরে চীনা ছাউনির সংখ্যা গত এক সপ্তাহে আরও বেড়েছে বলে বিভিন্ন উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে। গোগরার হট স্প্রিং এলাকা এবং প্যাংগং লেকের উত্তরে ফিঙ্গার পয়েন্ট ৮ থেকে ৪ পর্যন্ত কংক্রিটের বাঙ্কার গড়ে বসে রয়েছে চীন সেনা।

Comment here