বেসরকারি মোহনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মুশফিকুর রহমানকে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে সদরের গোবিন্দপুর এলাকায় একটি মসজিদের সামনে থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে গত শনিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিন্নাতুল ইসলাম বলেন, মসজিদের সামনে মুশফিকুরকে পড়ে থাকতে দেখে মসজিদের ইমাম স্থানীয়দের খবর দেন। পরে স্থানীয়রা পকেটে পরিচয়পত্র দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
জিন্নাতুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা মুশফিকুরকে ওই মসজিদের সামনে যখন ফেলে যায়, তখন তার হুঁশ ছিল। তিনি মসজিদের লোকজনকে বলেন যে, তিনি খুবই ক্লান্ত। তখন তাকে খাবার-পানীয় দেওয়া হয়। তিনি সেখান থেকে মোবাইল ফোনে বাড়িতেও কথা বলেছেন।
মুশফিকুরের শার্ট-গেঞ্জি ছেঁড়া দেখা গেছে এবং মারধর করার কিছু আলামত পাওয়া গেছে। সেখান থেকে পুলিশ তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার গুলশানে মামার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে মুশফিকের খোঁজ মিলছিল না বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ওই রাতেই গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর-১৯৪) করেন মুশফিকুরের মামা এজাবুল হক।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুশফিক তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার চরগোয়ালী খন্দকার নাজির আহমেদ বহুমুখী বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। এর পর অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি তাকে গত ২১ জুলাই রাতে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে পরিবারসহ গুম এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ২২ জুলাই পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর-১৯২০) করেন মুশফিকুর।
Comment here