সেই কলেজশিক্ষিকাকে নিয়ে যা বললেন চিকিৎসক - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

সেই কলেজশিক্ষিকাকে নিয়ে যা বললেন চিকিৎসক

নিজস্ব প্রতিবেদক ; নাটোরে কলেজছাত্রকে বিয়ে করে ভাইরাল হওয়া খুবজিপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহারের শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়েছে, এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকরা। নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক (আরএমও) সামিউল ইসলাম শান্ত এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে শ্বাসরোধে তার মৃত্যু হতে পারে। তারপরও ভিসেরা রিপোর্ট এলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।

এর আগে গতকাল রোববার সকালে আটকের সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের কলেজশিক্ষিকার স্বামী মামুন জানান, খায়রুন নাহারের মা-বাবাসহ আত্মীয়-স্বজনরা যোগাযোগ রাখতেন না।  এমনকি কলেজের কোনো সহকর্মীও তার সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলতেন না। এ কারণে মানসিকভাবে চাপে ছিলেন খায়রুন।

 

 

নিহতের চাচাতো ভাই সাবির উদ্দিন বলেন, অসম বয়সের ছাত্রকে বিয়ে করায় খায়রুন নাহারের কলেজের সহকর্মীরা তার সঙ্গে তেমন কথা বলতেন না। মা-বাবাসহ আত্মীয়-স্বজনরা যোগাযোগ রাখতেন না। বিয়ের বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা হওয়ায় খায়রুন নাহার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মামুনের কোনো স্বজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার বাবা মোহাম্মদ আলীর মোবাইল ফোন বন্ধ।  এমনকি তার চাচা আহম্মদ আলী মেম্বারকেও মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।

ঘটনার পর নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, পিবিআই পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন ও সহকারী পুলিশ সুপার মহসিনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় পিবিআই পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন বলেন, সব আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও তদন্ত অগ্রসর হলে মৃত্যুর বিষয়ে পরিষ্কার করে বলা যাবে।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, বিষয়টি আত্মহত্যার মতোই মনে হচ্ছে। সিলিং ফ্যানে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে যেভাবে ওড়না আগুন দিয়ে পুড়িয়ে খায়রুন নাহারকে তার স্বামী নামিয়েছেন এটা বিশ্বাসযোগ্য। কাপড় এবং ফ্যানের কিছু অংশ পোড়া অবস্থায় দেখা গেছে। তারপরও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত স্বামী মামুন বাইরে থাকাসহ সবগুলো পয়েন্ট মাথায় রেখে পুলিশ তদন্ত কাজ শুরু করেছে।

মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে এবং পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত শেষ হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Comment here