পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ছোঁয়া চৌধুরীর মায়ের নাম কেয়া চৌধুরী। তবে তিনি সাবেক সাংসদ কেয়া চৌধুরী নন। ছোঁয়ার মা নিজেকে সাবেক সাংসদ কেয়া চৌধুরী বলে পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করছিলেন। এই পরিচয়ে আদাবর এলাকার অর্ধশত মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেন। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন পণ্য কিনে অর্থ পরিশোধ করেননি। প্রতারক মা এবং মেয়ের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় এর আগেও দুটি মামলা ছিল। তাঁরা দুজনেই পুলিশের খাতায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’।
এদিকে হবিগঞ্জের সাবেক সাংসদ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ প্রতারক নারীকে আমার মেয়ে বলে প্রচার চালাচ্ছে। তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আমার একমাত্র মেয়ে দার্জিলিংয়ের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ লেভেলের শিক্ষার্থী। সে ‘সিক্সথ গ্রেড’ থেকে সেখানে পড়ছে। অথচ প্রতারক নারীকে আমার মেয়ে বলে প্রচার চালিয়ে একাধিক গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করেছে।’
পুলিশ জানায়, আদাবর এলাকায় ছোঁয়া চৌধুরী এবং তাঁর মা কেয়া চৌধুরী বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে নানা প্রলোভনে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। প্রতারণার শিকার কয়েকজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য ক্রয়ের পর আর টাকা পরিশোধ করছিলেন না। একজন মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ৭০ হাজার টাকার মাছ ক্রয় করে টাকা পরিশোধ করেননি। তাঁদের কিছু বললেই সাংসদ কেয়া চৌধুরীর পরিচয় দিতেন। বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতেন। গ্রেপ্তার ছোঁয়া চৌধুরীর মা প্রতারক কেয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Comment here