স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ৩ মাস পর ভাইরাল - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ৩ মাস পর ভাইরাল

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে বাড়িতে নিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভিডিও ধারণের তিন মাস পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তা ভাইরাল করে দিয়েছেন অভিযুক্ত ধর্ষকের দুই বন্ধু। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছে ওই ছাত্রী।

আসামিরা হলেন- ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের সাজনপুর দাসপাড়া গ্রামের অসীম দাসের ছেলে অর্পণ দাস (১৯), একই এলাকার কোমল দাসের ছেলে দুর্জয় দাস (১৯) ও দক্ষিণ মহিষার গ্রামের মোক্তার সরদারের ছেলে মুবদি সরদার (১৮)। তারা সবাই সাজনপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং অর্পণ দাস ও মুবদি ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

ভেদরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক রাজীব কুমার সূত্রধর জানান, ভেদরগঞ্জ উপজেলার সাজনপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ১৫ মার্চ স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে তার সহপাঠী অর্পণ দাস, দুর্জয় দাস, মুবদি সরদার সাজনপুর বাজার থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে অর্পণ দাসের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর ওই ছাত্রীকে একটি কক্ষে নিয়ে দুর্জয় ও মুবদির সহযোগিতায় ধর্ষণ করে অর্পণ দাস। তাদের ওইসব কর্মকাণ্ড আবার মুঠোফোনে ধারণ করে অর্পণের দুই বন্ধু দুর্জয় ও মুবদি সরদার।

তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকেই দুর্জয় ও মুবদি ভিডিও দেখিয়ে আবারও কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধারণকৃত ভিডিও ক্লিপটি গত ১৫ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেয় তারা। এ ঘটনার পর থেকে লোকলজ্জার ভয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় ওই ছাত্রীর।

এ ঘটনায় এখনো আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় উল্টো মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর পরিবারের।

ওই ছাত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একই স্কুলে পড়াশোনা করি। সহপাঠী হওয়ায় জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যেতে রাজি হই। আমি ওদের বিচার চাই। আমাকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে। আমি এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারব কিনা, তাও জানি না।’

সাজনপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, ‘আমাদের স্কুলের ছাত্রীর সঙ্গে যে ঘটনাটি ঘটেছে এটা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টির কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন যাতে কখনো এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। ‘

মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা ভেদরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিব কুমার বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমাদের ওসি স্যারের কাছে ভিডিওটি রয়েছে।’

ভেদরগঞ্জ থানার ওসি বাহালুল খান বাহার বলেন, ‘ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার আমার কাছে আসছিল। আমি সঙ্গে সঙ্গে মামলা নিয়েছি। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

Comment here