অনলাইন ডেস্ক ; করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সাত জেলায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে চার শিশু রয়েছে। এ নিয়ে গত ২৮ মার্চ থেকে গতকাল এ প্রতিবেদন তৈরি পর্যন্ত করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮৩ জনে। এদিকে সিলেটে মারা যাওয়া শিশুর করোনা ছিল কিনা তা আজ জানা যাবে বলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক জানিয়েছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরÑ
খুলনা : খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টটেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে এক শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ২৪
বছরের এক যুবক ও দুপুর সাড়ে ১২টায় ১০ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। হাসপাতালের ফ্লু কর্নারের মুখপাত্র ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, ওই দুজন করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা জানার জন্য তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
নওগাঁ : সম্প্রতি ঢাকা থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে নওগাঁ শহরের চকদেব জনকল্যাণপাড়া নিজ বাড়িতে আসা এক ব্যক্তি শুক্রবার সকালে মারা যান। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. হারুন অর রশিদ জানান, নওগাঁ শহরের চকদেব জনকল্যাণপাড়া বি বøক এলাকার ওই যুবক করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ১৫ এপ্রিল ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন।
হোমনা : কুমিল্লার হোমনায় করোনার উপসর্গ নিয়ে সাড়ে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। উপজেলার মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের বিজয়নগর থেকে সর্দি, জ¦র ও শ^াসকষ্টের কারণে শুক্রবার ভোরে শিশুটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়; কিন্তু পথেই শিশুটির মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর শিশুটির বিজয়নগরের বাড়িসহ পাশর্^বর্তী আরও কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করে প্রশাসন।
রাজারহাট : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৮ মাসের এক মেয়েশিশু গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে মারা যায়। এর পর স্থানীয় প্রশাসন শিশুটির বাড়িসহ দুটি বাড়ি লকডাউন করে দেয়। রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি মেডিক্যাল টিম ও রাজারহাট থানাপুলিশ রাতেই মৃত শিশু ও তার নানির নমুনা সংগ্রহ করে।
বরিশাল : শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আরও এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে চিকিসাধীন মারা যান তিনি। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
হোসেনপুর : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় গতকাল শুক্রবার সকালে কানের ব্যথা, জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে এক শিশুর (৯) মৃত্যু হয়। উপজেলার পানান গ্রামের বাড়িতে মারা যায় শিশুটি। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে শিশুটির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে।
কক্সবাজার : কক্সবাজারে করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে নিয়ে আসা এক নারী গতকাল সন্ধ্যায় মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডাক্তার মো. মহিউদ্দিন জানান, রামু উপজেলার গর্জনিয়া এলাকা থেকে ওই নারীকে করোনার উপসর্গসহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয় সন্ধ্যা ৬টার দিকে। সেখান থেকে তাকে আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়; কিন্তু চিকিৎসা শুরুর আগেই তিনি মারা যান।
সিলেট : করোনার উপসর্গ নিয়ে সিলেটে ১০ বছর বয়সী এক মেয়েশিশুর মৃত্যু হয়েছে। মেয়েটি নগরীর শাহজালাল উপশহর এলাকার বি-বøকের একটি বস্তির বাসিন্দা। গতকাল তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ রিপোর্ট এলেই জানা যাবে সে করোনায় আক্রান্ত ছিল কিনা। এ তথ্য জানান ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।
Comment here