স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে ডজনখানেক কর্মকর্তাকে কী কারণে পর্যায়ক্রমে বদলি করা হচ্ছে, জানতে চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার বদলির তথ্যসহ বদলি করা ব্যক্তিদের বিষয়ে জানতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি প্রতিরোধে গঠিত এ কমিশন।
দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে গঠিত টিমের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে চিঠিটি পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আমরা বদলির কারণসহ এ বিষয়ে তথ্য চেয়েছি।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে শুদ্ধি অভিযানের নামে বদলিকৃত এক কর্মকর্তা দুদকে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। তার দাবি, সত্য বলার কারণে তাকে বদলি করা হয়েছে। মূলত এরপর থেকেই এ বিষয়ে তথ্য জানতে চায় দুদক। বদলির প্রকৃত কারণ খুঁজতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ইকবাল মাহমুদ।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেও দুদক এ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। দুদক পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে চার সদস্যের টিম এ নিয়ে কাজ করছে।
জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এক পরিচালকসহ চার কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদেও রদবদল হয়েছে। ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বদলিকৃত পরিচালকের বিরুদ্ধে। এর পেছনে উঠে এসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক পদ হারানো ডা. ইকবাল কবিরের নাম। তিনি বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি দিয়ে ইকবাল কবিরের যাবতীয় তথ্য চেয়েছে দুদক।
এ ছাড়া পিপিই ও এন-৯৫ মাস্ক কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতি, স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির ঘটনা এবং কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে কেনাকাটায় হরিলুটের ঘটনা অনুসন্ধান ও তদন্ত করছে দুদক। দুদকের আরেক পরিচালক কাজী শফিকুল আলম ও তার নেতৃত্বাধীন টিম এ কাজে যুক্ত আছেন বলে জানা গেছে।
Comment here