ঢাবিছাত্রী ধর্ষণ : সেই মজনুর বিচারের তারিখ নির্ধারণ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

ঢাবিছাত্রী ধর্ষণ : সেই মজনুর বিচারের তারিখ নির্ধারণ

আদালত প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের বহুল আলোচিত মামলার আসামি সেই মো. মজনুর (৩০) বিচার শুরু হচ্ছে আগামী ২৬ আগস্ট। আজ রোববার মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কামরুজ্জামান বিচার শুরুর এ তারিখ ঠিক করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৭ নম্বর ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ। তিনি জানান, বিচারের দিন আসামির উপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে চার্জগঠনের শুনানি হবে।

মামলাটিতে গত ১৬ মার্চ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক ঢাকা সিএমএম কোর্টে মো. মজনুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সকল আদালত ছুটিতে থাকায় এ মামলার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। গত ৫ আগস্ট থেকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সিএমএম কোর্ট মামলার চার্জশিট ওই ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য পাঠালে আজ রোববার বিচারের তারিখ ঠিক করল ট্রাইব্যুনাল।

এ মামলায় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি আসামি মজনুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই রিমান্ড শেষে গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন এবং ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।

মামলার চার্জশিটে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাস স্ট্যান্ড থেকে ৪০/৫০ গজ সামনে আর্মি গলফ ক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে ভুক্তভোগী (২১) পৌঁছালে আসামি মজনু পেছন থেকে ধরে ফুটপাতে ফেলে গলা চেপে ধরে। ভুক্তভোগী চিৎকার করতে গেলে আসামি তাকে কিল-ঘুষি মেরে ভয়ভীতি দেখালে ভুক্তভোগী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন মজনু ভুক্তভোগীকে অচেতন অবস্থায়ই ধর্ষণ করেন।

মজনু একজন অভ্যাসগতভাবে ধর্ষণকারী। তিনি প্রতিবন্ধী, পাগল, ভ্রাম্যমাণ মহিলার সম্মতি ব্যতিত এই অনৈতিক কাজ করে আসছিলেন। তার স্থায়ী কোনো বসবাসের জায়গা নেই, তিনি ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় থাকেন।

এর আগে, র‌্যাব-১, উত্তরা এর সিপিসি-১ এর চৌকশ দল গত ৮ জানুয়ারি মজনুকে ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাস স্ট্যান্ডের পূর্ব পাশের পাকা রাস্তার ওপর থেকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের পর তার স্বীকারোক্তি মতে ভুক্তভোগীর ব্যাগ, মোবাইল, পাওয়ার ব্যাংক এবং ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত একটি জিন্সের প্যান্ট ও একটি জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়।

এরও আগে, গত ৬ জানুয়ারি ভুক্তভোগীর অধ্যক্ষ বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করেন, ভুক্তভোগী তার বড় মেয়ে (২১)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি থাকত রোকেয়া হলে। গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা করেন। রাত ৭টার দিকে বাসটি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাস স্ট্যান্ডে থামে।

Comment here